রাজশাহী মহানগরবাসীকে জানাই উষ্ণ অভিনন্দন ও আন্তরিক ধন্যবাদ।শৃঙ্খলা-সেবা- নিরাপত্তা এই শ্লোগানে গত ১ জুলাই ১৯৯২ সালে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ গঠিত হয়। সময়ের পরিক্রমায় দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছে এই মহানগরী পুলিশ। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আরএমপি’র সদস্যগণ প্রশিক্ষিত, দক্ষ ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সক্ষম তার পরিচয় দিয়েছে।শুধু বল প্রয়োগের মাধ্যমেই নয় ‘জনগণের সেবার’ মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে আরএমপি’র সদস্যগণ বিরতিহীনভাবে মহানগরীর নাগরিকবৃন্দের নিরাপত্তা প্রদানে বদ্ধপরিকর। বিট পুলিশিং ও কমিউনিটি পুলিশিং-এর মাধ্যমে জনগণের সাথে পুলিশের সেতুবন্ধন তৈরি করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই মামলার তদন্ত, ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনা, বিশেষ শাখার কার্যক্রমসহ জাতীয় ,ধর্মীয় ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টে আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থাপনায় সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে আসছে আরএমপি।রাজশাহী মহানগরকে নিরাপদ নগরী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে অপারেশন কন্ট্রোল অ্যান্ড মনিটরিং সেন্টার গঠনের মাধ্যমে পুরো শহরকে সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তায় সাইবার ক্রাইম ইউনিট গঠন, ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব স্থাপন, কিশোর অপরাধ দমনে কিশোর গ্যাং ডিজিটাল ডাটাবেজ তৈরি এবং হ্যালো আরএমপি অ্যাপসের মাধ্যমে আরএমপি’র সেবা এখন হাতের মুঠোয়। তা ছাড়া আরএমপি’র ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের মাধ্যমে নির্যাতিতা নারী ও শিশু ভিকটিমের আইনগত সহায়তাসহ কাউন সিলিং-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সন্ত্রাস মোকাবেলায় আরএমপি’র সিআরটি ও বোম ডিসপোজাল ইউনিটকে উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তোলা হয়েছে। তারা যে-কোনো পরিস্থিতি ও সন্ত্রাসী হামলা মোকাবিলা করতে সদাপ্রস্তুুত। এছাড়া আরএমপি ট্রেনিং স্কুল হতে আরএমপি’র পুলিশ সদস্যদের প্রতিনিয়ত যুযোপোযগী প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে।মানবসেবায় মুমূর্ষু রোগীর জীবন বাঁচাতে বিনামূল্যে রক্ত সরবরাহ করতে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে আরএমপি ব্লাড ব্যাংক। এছাড়াও রাজশাহী অঞ্চলের মহান মুক্তিযুদ্ধেও রাজশাহী পুলিশের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস সংরক্ষণের লক্ষ্যে “পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর, রাজশাহী” নির্মাণ করা হয়েছে।আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, পদ্মা নদী বিধৌত, সিল্কসিটিখ্যাত রাজশাহী মহানগরবাসী রাজশাহী মাহনগরকে নিরাপদ এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশকে সর্বাত্মক সহায়তা করবে।