আরএমপি নিউজ: জাপানের মহাকাশযান হায়াবুসা-২ ছয় বছর মহাকাশে কাটিয়ে এখন পৃথিবীর দিকে ফিরে আসার পথে রয়েছে। নতুন মিশন শুরুর আগে মহাকাশযানটি গ্রহাণুর বিরল নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে আসছে।
একটি ফ্রিজের আকারের মহাকাশযানটি ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে মহাকাশে পাঠানো হয়। পৃথিবী থেকে প্রায় ৩০ কোটি কিলোমিটার (১৮ কোটি ৫০ লাখ মাইল) দূরের গ্রহাণুর নমুনা সংগ্রহ করে এটির ফিরে আসার অপেক্ষায় বিজ্ঞানীরা এখন শিহরিত।
জাপানের মহাকাশ সংস্থা জাক্সা’র (জেএএক্সএ) বিজ্ঞানীরা এখন মিশনের মেয়াদ আরো এক দশকের বেশী বাড়ানোর এবং নতুন দুইটি গ্রহাণু নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা করছেন। নতুন মিশন শুরুর আগে হায়াবুসা-২ জাপানি ভাষায় “ড্রাগন প্যালেস” হিসেবে পরিচিত রাইগু গ্রহাণুর নমুনা পৃথিবীতে রেখে যাবে।
বিজ্ঞানীদের ধারণা ক্যাপসুলটি গ্রহাণুর ০.১ গ্রাম নমুনা নিয়ে আসবে, এর মাধ্যমে ৪৬০ কোটি বছর আগে আমাদের সৌরজগতের গঠন সম্পর্কে তথ্য জানা যাবে। জাপানের মহাকাশ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক ইউচি সুদা রবিবার যানটির অবতরণের আগে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কিভাবে বস্তুসমূহ সৌরজগতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে, কেন গ্রহাণুতে এসব বস্তু থাকে এবং পৃথিবীর সঙ্গে এগুলো কিভাবে সম্পর্কিত সেবিষয়ে নমুনা থেকে তথ্য জানা যাবে।
পৃথিবী থেকে প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার কিলোমিটার দূরে নমুনাসহ ক্যাপসুলটি মহাকাশযান থেকে আলাদা হয়ে পৃথিবীতে নেমে আসবে। এটি অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় মরুভূমিতে নেমে আসবে। সূর্যালোক ও বিকিরণ থেকে সুরক্ষিত ব্যবস্থায় নমুনা এখান থেকে জাপানে নিয়ে যাওয়া হবে।নমুনাসহ ক্যাপসুলটি পৃথিবীতে রেখে হায়াবুসা-২ প্রোব আবার ৬ বছরের জন্য সূর্য আবর্তন করে মহাশূণ্যের ধূলিকণা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করবে। এটি ২০২৬ সালের জুলাইয়ে প্রথম একটি টার্গেট গ্রহাণুর কাছাকাছি পৌঁছাবে। এ সময় ‘২০০১ সিসি২১’ নামে গ্রহাণুর কাছ দিয়ে প্রোবটি অতিক্রম করবে।
বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, প্রোবটি এ সময় গ্রহাণুর ছবি তুলবে। এরপরের টার্গেট হবে পৃথিবী থেকে ৩০ কোটি কিলোমিটার দূরে ২০৩১ সালের জুলাইয়ে ‘১৯৯৮ কেওয়াই ২৬’ গ্রহাণু।