ভারতে অব্যাহত রয়েছে কৃষক আন্দোলন। প্রতিনিয়ত জোরালো হচ্ছে দেশটির নতুন কৃষি আইনের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া এই আন্দোলন। ইতোমধ্যে দিল্লি-জয়পুর মহাসড়ক বন্ধ করে দেওয়ার লক্ষ্যে হাজার হাজার কৃষক বিভিন্ন রাজ্য থেকে জড়ো হচ্ছেন। দিল্লি-জয়পুর সংযোগকারী রাস্তায় শতাধিক ট্রাক বসিয়ে অবরোধ করা হচ্ছে। স্থানীয় সময় রোববার (১৩ ডিসেম্বর) কুয়াশা উপেক্ষা করে সকাল থেকেই মহাসড়কে দলে দলে জমায়েত হচ্ছেন কৃষকরা।
এদিকে সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত অনশনের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছে দেশটির বিপুল নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য।
কৃষকদের ভাষ্য, বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের হাত ধরে আসা কৃষি সংস্কার আইনগুলো তাদের জীবন-জীবিকাকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার বলছে, মান্ধাতার আমলের বিপণন পদ্ধতি সংস্কারের লক্ষ্যেই নতুন এ আইনগুলো করা হয়েছে। আইন সংস্কারের ফলে কৃষকরা তাদের ফসল বিক্রির ক্ষেত্রে আগের তুলনায় বেশি সুযোগ-সুবিধা পাবেন বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।
ভারতের ২ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থনীতির প্রায় ১৫ শতাংশই কৃষির ওপর নির্ভরশীল। দেশটির প্রায় ১৩০ কোটি জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
কৃষকদের আশঙ্কা, নতুন এ কৃষি সংস্কার আইনগুলো ভারতের নিয়ন্ত্রিত বাজারব্যবস্থাকে ভেঙে দেবে এবং সরকারও ধীরে ধীরে নির্ধারিত মূল্যে গম ও ধান কেনা বন্ধ করে দেবে। এতে তাদের ফসল বেচতে বেসরকারি ক্রেতাদের সঙ্গে দরকষাকষিতে নামতে হবে। ক্ষতির মুখে পড়বেন বহু কৃষক।