নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া
থানাধীন জামনগর গ্রামের দ্বীনেশ ধর এর ছেলে দ্বিজেন ধর এর নিকট হতে ১৭টি স্বর্ণের
বার, ওজন ১৭০ ভরি, মূল্য ১,১২,৭১,০০০/-টাকা, ০২টি মোবাইল ফোন সেট, মূল্য ২১,২০০/-টাকা
এবং নগদ ৩,৫০০/-টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বোয়ালিয়া মডেল থানার
মামলা নং-৬৬, তাং-২২/১২/২০২০ খ্রিঃ, ধারা-১৭০/৩৯২ পেনাল কোড রুজু করে মামলার তদন্তভার এসআই/মোঃ আঃ মতিন এর উপর
অপর্ণ করা হয়।
মামলাটি রুজু পরপরই রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ আবু কালাম সিদ্দিক মহোদয়ের নির্দেশে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশের একটি চৌকস অভিযানিক দল ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহপূর্বক পর্যালোচনা করে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও তথ্য প্রযুক্তি বিশ্লেষণের মাধ্যমে ২৫/১২/২০২০ খ্রিঃ বাদীর মেজ ভাই আসামী ১। জিতেন ধর (৪৮), পিতা-দ্বীনেশ ধর, সাং-পুঠিয়া শিবচৌকি উত্তরপাড়া, থানা-পুঠিয়া, জেলা-রাজশাহীকে দফায় দফায় ব্যাপক ও নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে। একপর্যায়ে জিতেন ধর (৪৮) স্বর্ণের বার তার বাসায় আছে মর্মে স্বীকার করেন। জিতেন ধর (৪৮) কে নিয়ে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে অভিযান পরিচালনা করে তার দেখানো মতে লুণ্ঠিত ১২টি স্বর্ণের বার তার নিজ বাড়ীর স্টিলের তৈরি আলমারীর লকারের মধ্যে এবং ০৪টি বাড়ীর নিচতলায় গ্যারেজের কার্ণিশ এর উপর হ’তে উদ্ধার পূর্বক আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধারকৃত ১২+৪=১৬টি স্বর্নের বার, যার প্রতিটির ওজন ১০ ভরি করে সর্বমোট ওজন ১৬০ ভরি, মূল্য ১,০৬,৭২,০০০/-টাকা। আসামী ০১টি স্বর্ণের বার নাটোর জেলার সদর থানাধীন লালবাজার বাহাদুর শাহ মার্কেট “বিনয় জুয়েলারী ও জুয়েলারী স্টোর” নামক একটি স্বর্ণের দোকানে ৬,৬৭,০০০/- টাকা মূল্যে বিক্রয় করেছেন। “বিনয় জুয়েলারী ও জুয়েলারী স্টোর” এর মালিক বিনয় কুমার দাস স্বর্ণের বার ক্রয় করেছেন মর্মে প্রত্যয়নপত্র প্রদান করেছেন। আসামী বাদীকে প্রবোধ দিয়ে উক্ত টাকা সহ আরো কিছু টাকা একত্রে ফেনী জেলার নুসরাত জুয়েলার্স এর মালিক মোঃ সুমন’কে দিয়েছেন। মোবাইল ফোনে মোঃ সুমন এর সাথে যোগাযোগ করে টাকা পরিশোধের বিষয়ের সত্যতা পাওয়া যায়।
এভাবে
বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তি বিশ্লেষণের মাধ্যমে
সম্পূর্ণ ক্লু-লেস ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন, আসামীকে সনাক্তপূর্বক গ্রেফতার
এবং আত্মসাৎকৃত স্বর্ণের বার উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।