গুণে ভরা বেগুনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে উপকারি খাদ্য উপাদান। বেগুন যেমন ত্বক ও চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে, তেমনই নিয়মিত বেগুন খেয়ে ওজনও কমবে। বেগুন একটি শীতকালীন সবজি হলেও আমাদের দেশে সারা বছরই পাওয়া যায়।
প্রতি ১০০ গ্রাম বেগুনে রয়েছে –শক্তি- ২৫ কিলোক্যালরি, শর্করা- ৫.৮৮ গ্রাম, চিনি- ৩.৫৩ গ্রাম, ফাইবার- ৩ গ্রাম, চর্বি- ০.১৮ গ্রাম, আমিষ- ০.৯৮ গ্রাম, থায়ামিন- ০.০৩৯ মিলিগ্রাম, রিবোফ্লেভিন- ০.০৩৭ মিলিগ্রাম, নিয়াসিন- ০.৬৪৯ মিলিগ্রাম, প্যানটোথেনিক অ্যাসিড- ০.২৮১ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি৬- ০.০৮৪ মিলিগ্রাম, ফোলেট- ২২ আইইউ, ভিটামিন সি- ২.২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন ই- ০.৩ মিলিগ্রাম, ভিটামিন কে- ৩.৫ আইইউ, ক্যালসিয়াম- ৯ মিলিগ্রাম, আয়রন- ০.২৩ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম- ১৪ মিলিগ্রাম, ম্যাংগানিজ- ০.২৩২ মিলিগ্রাম, ফসফরাস- ২৪ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম- ২২৯ মিলিগ্রাম এবং জিংক- ০.১৬ মিলিগ্রাম।
আসুন জেনে নেই বেগুনের গুণাগুণ সম্পর্কেঃ
এই সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, যা চোখের জন্য খুব উপকারী। এই ডিজিটাল যুগে আমাদের চোখের পরিশ্রম করতে হয় খুব বেশি। এতে চোখের ওপর চাপ পড়ে। বেগুনে ভিটামিন এ থাকায় তা আমাদের চোখ ও ত্বকের জন্য খুবই ভালো।
বেগুন খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। যাঁদের রক্তে কোলেস্টেরল বেশি, তাঁরা কোনো রকম দুশ্চিন্তা ছাড়াই খেতে পারেন বেগুন। তবে তাঁদের অবশ্যই বেগুন বেক বা গ্রিল করে খেতে হবে।
বেগুনে ক্যালোরি কাউন্ট অত্যন্ত কম হওয়ায় বেগুন খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকে না। বেগুনে ফাইবার ও জলীয় ভাল অত্যন্ত বেশি থাকায় ওজন কমাতে বেগুন সহায়ক।
যাদের ইনসমনিয়া বা ঘুমের সমস্যা আছে, আয়ুর্বেদিক মতে বেগুন খেলে তাদের অনেকটাই নিরাময় হবে।
পাকস্থলী, কোলন, ক্ষুদ্রান্ত্র, বৃহদান্ত্রের ক্যানসারকে প্রতিরোধ করে বেগুন। যে কোনও ক্ষতস্থান শুকাতে সাহায্য করে বেগুন।
বেগুনে কম কার্বোহাইড্রেট এবং বেশি পরিমাণে ফাইবার থাকায় ডায়াবিটিস কমাতে প্রাচীন কাল থেকেই বেগুনের ব্যবহার চলে আসছে।
যে কোনও রঙিন ফল বা সবজির মতো বেগুনেও আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্থোসিয়ানিন। এটি খুব শক্তিশালী একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
বেগুনে প্রচুর পরিমাণ আয়রন থাকায় রক্তশূন্যতার রোগীদের জন্যও এই সবজি উপকারী।
বেগুন ভিটামিন এ, সি, ই এবং কে সমৃদ্ধ সবজি। ভিটামিন এ চোখের পুষ্টি জোগায়, চোখের যাবতীয় রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। ভিটামিন সি ত্বক, চুল, নখকে করে মজবুত। দেহে রক্ত জমাট বাঁধার বিরুদ্ধে কাজ করে ভিটামিন ই ও কে। এই ভিটামিন চারটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে করে বহুগুণে কার্যকর।