আরএমপি নিউজ: যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্যাপিটল হিলে হামলার উস্কানিদাতার অভিযোগ থেকে শনিবার রেহাই পেয়েছেন।
সিনেটের অভিশংসন আদালতে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য ট্রাম্পকে দন্ড দেওয়ার পক্ষে ভোট দিলেও তিনি সাংবিধানিক আইনে রেহাই পেয়ে যান।
দন্ডিত হওয়ার জন্য সিনেটে দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের ভোট দরকার। অভিশংসন আদালতের চূড়ান্ত ৫৭-৪৩ ভোটের মাধ্যমে দন্ড থেকে আবারো রেহাই পেলেন ট্রাম্প।
কিন্তু দোষী সাব্যস্ত হওয়ার জন্য দুই তৃতীয়াংশ বা ৬৭ টি ভোট প্রয়োজন ছিল। সে হিসেবে ট্রাম্পকে অভিশংসন করার পক্ষে ১০টি ভোট কম আছে। অব্যাহতি পাওয়ার পরে মি. ট্রাম্প এই বিচার প্রক্রিয়াকে “ইতিহাসের সবচেয়ে বড় উইচ হান্ট” হিসাবে নিন্দা জানিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন।
এটি ছিল ট্রাম্পের দ্বিতীয় অভিশংসন। ২০১৯ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আরো একবার অভিশংসনের চেষ্টা হয়েছিল। যদি তিনি দোষী সাব্যস্ত হতেন, সেনেট তাকে আবারও প্রেসিডেন্ট পদ প্রার্থী হতে বাধা দেওয়ার পক্ষে ভোট দিতে পারত।
ভোটাভুটির পর কংগ্রেসের সিনিয়র রিপাবলিকান, সেনেটর মিচ ম্যাককনেল বলেছেন যে মি. ট্রাম্প ক্যাপিটল হিলে হামলার পেছনে দায়ী ছিলেন এবং তিনি একে “অসম্মানজনক এবং দায়িত্বের প্রতি চরম অবহেলা” বলে উল্লেখ করেছেন। এর আগে, তিনি মি. ট্রাম্পের দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিলেন। মি. ট্রাম্প আর প্রেসিডেন্ট পদে না থাকায় এই প্রক্রিয়াকে অসাংবিধানিক বলে ব্যাখ্যা করেছেন তিনি।
২০ শে জানুয়ারি, মি. ট্রাম্পের দায়িত্ব ছাড়ার আগ পর্যন্ত মি. ম্যাককনেল তার বিচার স্থগিত রাখতে সহায়ক ভূমিকা রেখেছিলেন।তবে মি. ম্যাককনেল, মি. ট্রাম্পকে সতর্ক করেছিলেন যে তাকে হয়তো এখনও আদালতের মুখোমুখি হতে পারে। “তিনি এখনও পালিয়ে যাননি। তাছাড়া আমাদের দেশে ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা রয়েছে, আমাদের দেওয়ানী মামলার ব্যবস্থা রয়েছে এবং সাবেক প্রেসিডেন্টদের কেউ এর কোনটি থেকে জবাবদিহিতার হাত থেকে রেহাই পান না,” তিনি বলেন। সূত্র:বিবিসি