আরএমপি নিউজঃ বিদ্যালয় এবং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বহুভাষিক শিক্ষার অন্তর্ভুক্তির উপর গুরুত্ব দিয়ে বিশ্বে বৈচিত্র্য আনয়নের লক্ষ্যে রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা (ইউনেস্কো)।
এবারের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শ্রেণিকক্ষে এবং সমাজে স্ব স্ব ভাষার অর্ন্তভুক্তির উপর জোর দেয়া হয়েছে।
ইউনেস্কোর প্রধান অড্রে আজোলে বলেন, বিশ্বের ৪০ শতাংশ আদিবাসী যে ভাষায় কথা বলেন বা ভালোভাবে বোঝেন বা তাদের সে ভাষায় শিক্ষার গ্রহণের সুযোগ পান না। তাই এটা তাদের জন্য অপরিহার্য। যার কারণে তাদের পড়াশুনার পাশাপাশি ঐতিহ্য এবং সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে অবাধ বিচরণে বাধার সম্মুখীন হন।
দিবসটিতে ভাষাগত বৈচিত্র্য এবং বহুভাষি হওয়াকে সম্মান দেয়া হয়েছে এবং একে মানবতার মূল্যবান ঐতিহ্য বলে অভিহিত করেছেন ইউনেস্কো প্রধান।
তিনি বলেন, এ বছর শৈশব থেকে বহুভাষিক শিক্ষার প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেয়া হচ্ছে যাতে শিশুরা মাতৃভাষাকে সবসময় একটি সম্পদ হিসেবে ভাবতে পারে।
অড্রে আজোলে বলেন, কোভিড-১৯ সঙ্কটকালীন সময়ে বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৫০ কোটি শিক্ষার্থীর অনেকেরই বিদ্যালয়ে যেতে পারছে না এবং তাদের কাছে দূরশিক্ষণ সুবিধাও নেই।
তিনি বলেন, আগামী বছর থেকে শুরু হতে যাওয়া আদিবাসী ভাষার আন্তর্জাতিক দশক উদযাপনের শীর্ষস্থানীয় সংস্থা হিসেবে ইউনেস্কো কাজ করবে।
তিনি বলেন, চলতি দশকের মতো আন্তর্জাতিক দিবসটিও বিশ্বের ভাষার বৈচিত্র্যের ঐতিহ্য সংরক্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করাই এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে। কোন একটি ভাষা হারিয়ে গেলে সে ভাষায় দেখা বিশ্ব, অনুভূতি এবং চিন্তাভাবনাগুলোও অদৃশ্য হয়ে যায় এবং অন্য সব সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যও অপ্রতিরোধ্যভাবে কমে যায়।