মিশরের রাজধানী কায়রোর সড়কে নেমেছিলেন ফারাও ও তার সঙ্গীরা। যা দেখতে ভিড় করেন, হাজারো মানুষ। মিশরের ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব ইজিপশিয়ান সিভিলাইজেশন থেকে ফারাও ও তাদের রানিদের মমি আরেকটি জাদুঘরে নেয়া হয় গত শনিবার। জাঁকজমকপূর্ণ ও ব্যয়বহুল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে প্রাচীন মিসরীয় সভ্যতার ১৮ জন রাজা ও চার জন রানির অক্ষতপ্রায় এসব মমি নিয়ে যাওয়া হয় সেখানে।
শনিবার ঠিকানা বদল করা এসব রাজা রানিদের মধ্যে সপ্তদশ শতাব্দীর রাজা দ্বিতীয় সেকেনেনরে থেকে শুরু করে খৃস্টপূর্ব দ্বাদশ শতাব্দীর রাজা নবম র্যামসেসও রয়েছেন। এতে জনতার আগ্রহের কেন্দ্র ছিলের, দ্বিতীয় র্যামসিস ও তার রানি হাটসেপুট ঘিরে। অনেক ঐতিহাসিকের মতে নবী মুসা আলাইহিস সালামের সময় মিশরের শাসক ছিলেন দ্বিতীয় র্যামসিস। তিনি ৬৭ বছর শাসন করেছেন এবং নিউ কিংডমে তিনিই ছিলেন সবচেয়ে জনপ্রিয় ফারাও। বলা হয় যে, তিনিই প্রথম কোনও শান্তি চুক্তিতে সই করেছিলেন। আরেকজন রানি হাটসেপসুট। ওই সময়ে কোনও নারীর ফারাও হওয়ার প্রথা না থাকলেও তিনি শাসক হয়েছিলেন।
এ সময় ২১ বার গান স্যালুট দিয়ে তাদের স্বাগত জানান মিসরের প্রেসিডেন্ট জেনারেল সিসি। ২২টি মমির এই বহরকে সাজানো হয় হাজার বছরের ঐতিহ্য মেনে শোভাযাত্রায়।
বর্ণাঢ্য প্যারেডের সাজানো গোছানো গাড়িতে করে এসব প্রাচীন শাসকের মমি নিয়ে যাওয়া হয় তাদের নতুন নিবাসে। মিসরীয় সভ্যতার ওপর নির্মিত নতুন এই জাদুঘরটির নাম দেওয়া হয়েছে ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব ইজিপশিয়ান সিভিলাইজেশন।