বৈশ্বিক ফুটবলে পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশনের (পিএফএফ) সদস্যপদ স্থগিত করেছে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থ্যা ফিফা। গত চার বছরের মধ্যে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ফিফার শাস্তির খড়গে পড়ল পাকিস্তান। ফুটবল ফেডারেশনে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের কারণে এতবড় শাস্তির আওতায় পড়লো পাকিস্তান।
সদস্যপদ বাতিলের কারণে ফিফা থেকে আর্থিক বা টেকনিক্যাল কোনো সুযোগ-সুবিধা পাবে না পিএফএফ। পাকিস্তানের পাশাপাশি সরকারি হস্তক্ষেপের কারণে সদস্যপদ স্থগিত হয়েছে আফ্রিকান দেশ শাদেরও।
পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশনে পরিচালনা কর্তৃপক্ষ নিয়ে টানাপোড়েন চলছে অনেক দিন ধরেই। যার জেরে ২০১৭ সালে আশফাক হোসেন শাহকে পিএফএফের প্রশাসকের দায়িত্ব দেন পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু ফিফার আইনে নিরপেক্ষ নির্বাচন ছাড়া গঠিত কমিটি ফুটবল ফেডারেশন পরিচালনায় অবৈধ। যে কারণে ২০১৭ সালের অক্টোবর থেকে পরবর্তী ছয় মাস সদস্যপদ স্থগিত ছিল পাকিস্তানের। এরপর ২০১৯ সালে পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশনে একটি ‘স্বাভাবিকীকরণ কমিটি’ করে দেয় ফিফা। এ বছরের জানুয়ারিতে যে কমিটির প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয় হারুন মালিককে। জুন পর্যন্ত মেয়াদ থাকা মালিকের কমিটি এপ্রিলের মধ্যে নতুন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার কথা জানিয়েছিল। কিন্তু গত ২৭ মার্চ লাহোরে মালিককে সরিয়ে পিএফএফ হেডকোয়ার্টারের দায়িত্ব নেয় আশফাকের নেতৃত্বাধীন গ্রুপ। এ বিষয়ে তখন পিএফএফকে কঠোর সতর্কবার্তা দেয় ফিফা।
বুধবার চূড়ান্ত পদক্ষেপ হিসেবে সদস্যপদ স্থগিতের ঘোষণা দেয় ব্যুরো অব ফিফা কাউন্সিল। যত দিন পর্যন্ত ফিফার নিয়োগ করা স্বাভাবিকীকরণ কমিটি কর্তৃক পিএফএফ কার্যালয়, হিসাব, প্রশাসন ও যোগাযোগমাধ্যম পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত না হবে, তত দিন স্থগিতাদেশ বলবৎ থাকবে বলে জানায় ফিফা।