ওয়েস্টইন্ডিজের লা সুফ্রিয়ার আগ্নেয়গিরি দীর্ঘ ৪২ বছর ঘুমন্ত বা মৃত হিসেবে থাকলেও হঠাৎই জেগে উঠেছে। আগ্নেয়গিরির এই অগ্ন্যুৎপাতের ফলে উড়ন্ত গরম ছাই বাড়ি ঘর ও ফসলের ওপরে পড়ে ফসলের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। মারা গেছে প্রচুর প্রাণী। আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত এতটাই প্রবল যে বাতাসে ৬ কিলোমিটার পর্যন্ত উঁচু কালো ছাইয়ে ঢেকে যায়। এমনকি আশেপাশের ২০ কিমি এলাকায় সেই ছাই ছড়িয়ে পড়ে।
ইতোমধ্যেই লা সুফ্রিয়ার আগ্নেয়গিরি আশপাশের প্রায় ১৬ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে পাঠানো হয়েছে। আগ্নেয়গিরি প্রায় শতাধিক গবাদি পশুর মৃত্যু ঘটিয়েছে। বেশ কয়েক একর জুড়ে ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
গত বছর ডিসেম্বর থেকেই এ এলাকায় ভূকম্পন অনুভূত হচ্ছিল। কোথাও কোথাও বাষ্প উঠতেও দেখা যাচ্ছিল, অবশেষে ১০ এপ্রিল বিস্ফোরণ হয়। তার আগেই অবশ্য ৮ এপ্রিল কিছুটা লাভা দেখা যাচ্ছিল। ৯ এপ্রিল শেষ ওয়ার্নিং দিয়ে বলা হয় যে কোনো দিন বিস্ফোরণ হতে পারে, এরপরেই ১০ এপ্রিল বিস্ফোরণ হয়। এর আগে ১৯৭৯ সালে বছরের প্রথম দিকে লা সুফ্রিয়ার আগ্নেয়গিরি অগ্ন্যুৎপাত করেছিল।
এই আগ্নেয়গিরি থেকে ঠিক ২০ কিমি দূরে রয়েছে আর্গিল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। সেখানেও ছড়িয়ে পড়েছে ছাই। এখনও উদ্ধারকাজ চলছে বলে জানা গেছে। দেশটির প্রায় ১০ শতাংশ মানুষ এই এলাকায় বাস করে। বিপুল পরিমাণে ছাই রাস্তাঘাট, ট্রেন লাইনে পড়ে থাকার কারণে উদ্ধারকাজে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।
বিশেষজ্ঞরা আশংকা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, এই একটি আগ্নেয়গিরি হঠাৎ করে জেগে ওঠায় অন্যান্য সক্রিয় আগ্নেয়গিরিগুলি থেকে লাভা উদগীরণ শুরু হতে পারে। তবে এই আগ্নেয়গিরির কারণে এখনো পর্যন্ত কোনো মানুষের মৃত্যু হয়নি।