ইউরোপের শীর্ষ ১২টি ক্লাব নিয়ে এ বছরের আগস্টেই মাঠে গড়াতে যাচ্ছে ইউরোপিয়ান সুপার লিগ। ইতোমধ্যেই ইউরোপিয়ান শীর্ষ ক্লাবগুলো অফিসিয়ালি এই টুর্নামেন্ট নিয়ে বিবৃতিও দিয়েছে। আর এমন ঘোষণা আসার পর থেকেই নড়েচড়ে বসেছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা উয়েফা।
রিয়াল মাদ্রিদ প্রেসিডেন্ট ফ্লোরিন্তিনো পেরেজকে চেয়ারম্যান করে রোববার (১৮ এপ্রিল) রাতে ঘোষণা এসেছে ইউরোপিয়ান সুপার লিগের নতুন কমিটির। ইউরোপিয়ান সুপার লিগের নতুন গভার্নিং বডির তালিকায় রয়েছেন- ভাইস চেয়ারম্যান: স্ট্যান ক্রোয়েঙ্কে (আর্সেনাল), ভাইস চেয়ারম্যান: আন্দ্রেয়া অ্যাগ্নেলি (জুভেন্টাস) ও ভাইস চেয়ারম্যান: জোয়েল গ্লেজার (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড)।
ইউরোপিয়ান গণমাধ্যম জানাচ্ছে এই টুর্নামেন্টটি মূলত শীর্ষক্লাবগুলোকে কাড়িকাড়ি অর্থ এনে দেবে। ধারণা করা হচ্ছে এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করলেই প্রত্যেকটি ক্লাব ৩৫০ মিলিয়ন ইউরো করে পকেটে পুরবে। আর তাই তো ফিফা ও উয়েফার হুমকি উপেক্ষা করে হলেও সুপার লিগে মাঠে নামতে পারে ক্লাবগুলো।
সুপার লিগের পক্ষ থেকে জানিয়েছে, তারা নিজ নিজ ঘরোয়া লিগে খেলা’র পাশাপাশি ‘সপ্তাহের মাঝে নতুন এক প্রতিযোগিতা’ শুরুর বিষয়ে একমত হয়েছে। ‘যত দ্রুত সম্ভব বাস্তবায়নযোগ্য’ পরিস্থিতি তৈরি হলেই সুপার লিগ মাঠে গড়াবে।
এই ২০ দল দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে গ্রুপ পর্বে লড়বে। এখনকার মতোই ‘হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে’ ভিত্তিতে ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি গ্রুপ থেকে শীর্ষ তিন দল উঠবে কোয়ার্টার ফাইনালে। বাকি দুটি স্থানের জন্য দুটি গ্রুপের চতুর্থ ও পঞ্চম দল দুই লেগের প্লে-অফ ম্যাচ খেলবে। এরপর বাকি পথটা চ্যাম্পিয়নস লিগের মতো। ফাইনাল ছাড়া কোয়ার্টার ও সেমিফাইনাল হবে দুই লেগের ভিত্তিতে। আর্থিক বিষয় নিয়ে আয়োজকেরা জানিয়েছেন ‘বর্তমান ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার তুলনায় বেশি অর্থ আয় হবে।’ নতুন এই লিগে অংশ নেওয়ার জন্য ‘প্রতিষ্ঠাতা ক্লাবগুলো ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ইউরো করে পাবে।