আরএমপি নিউজঃ গত ১৫ এপ্রিল ২০২১ মহানগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানায় করা অপহরণ মামলার ভিকটিম উদ্ধার ও আসামী গ্রেফতারে সাফল্য দেখিয়েছে আরএমপি সাইবার ক্রাইম ইউনিট।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের সম্মানিত পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ আবু কালাম সিদ্দিক মহোদয় আরএমপিতে পুলিশ কমিশনার হিসেবে যোগদানের পরপরই গত ১৭ এপ্রিল ২০২০ সাইবার ক্রাইম ইউনিটের উদ্বোধন করেন।
যাত্রার শুরু থেকেই সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহকারি পুলিশ কমিশনার জনাব উৎপল কুমার এর নেতেৃত্বে সাইবার ক্রাইম ইউনিট সাফল্য দেখিয়ে আসছে। বিশেষ করে মোবাইল কললিষ্ট, ফেসবুক, ইমো, ম্যাজেঞ্জার ইত্যাদি পর্যালোচনা করে আরএমপি’র থানাসমূহের বিভিন্ন অপহরণ মামলার ভিকটিম উদ্ধার, প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ, মাদক ব্যবসায়ীর অবস্থান সনাক্ত করা, ভূয়া পুলিশ পরিচয়ে টাকা আত্মসাৎ, ছিনতাইকারী গ্রেফতার, জঙ্গি গ্রেফতার, ডিজিটাল প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ, হারানো মোবাইল উদ্ধারের নেপথ্যে কাজ করে যাচ্ছে সাইবার ক্রাইম ইউনিট। সর্বশেষ তারা সাফল্য দেখিয়েছে কাশিয়াডাঙ্গা থানার রুজুকৃত অপহরণ মামলার ভিকটিম উদ্ধার ও আসামী গ্রেফতার করে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায় মোসাঃ রিপা (ছদ্মনাম) রাজশাহী মহানগরীর হেতেম খাঁ বাংলাদেশ পলিটেকনিক ইনিষ্টিটিউট কলেজে ৪র্থ সেমিষ্টারে লেখাপড়া করতো। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তার সাথে গাজীপুরের সুমা বেগমের বন্ধুত্ব হয়। বন্ধুত্বের সূত্রে ধরে সুমা বেগম গত ৭ এপ্রিল ২০২১ রিপার হড়গ্রামের বাড়ীতে বেড়াতে আসে। পরবর্তীতে গত ১১ এপ্রিল ২০২১ বিকেল ০৫.০০ টায় কাশিয়াডাঙ্গা থানার হড়গ্রাম কলোনীর বাসা হতে মোসাঃ রিপা (ছদ্মনাম)কে সুমা বেগম কৌশলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। রিপার বাবা-মা অনেক অনেক খুঁজাখোঁজির পর রিপাকে না পেয়ে কাশিয়াডাঙ্গা থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
অপহরণ মামলার বিষয়টি রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের সম্মানিত পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ আবু কালাম সিদ্দিক মহোদয় অবগত হওয়ার পরপরই সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে এই মামলার ভিকটিম উদ্ধার ও আসামী গ্রেফতারের নির্দেশনা প্রদান করেন।
সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহকারি পুলিশ কমিশনার জনাব উৎপল কুমার এর নেতৃত্বে এএসআই মোঃ সাইফুল ইসলাম, কনস্টবল মোঃ সুলতান মাহমুদ সহ কাশিয়াডাঙ্গা থানার এসআই মোঃ তাজ উদ্দিন ও তার টিম পুলিশ কমিশনার মহোদয়ের নির্দেশনার আলোকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে ভিকটিম উদ্ধার ও আসামী গ্রেফতারের জন্য কাজ শুরু করে।
আসামী ও ভিকটিম কোন মোবাইল নাম্বার ব্যবহার না করায় শুধুমাত্র ফেসবুকের তথ্য সূত্রের ভিত্তিতে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভিকটিম উদ্ধারের উদ্দেশ্যে গাজীপুরের কাছাকাছি পৌঁছালে পুলিশের উপস্থিতির বিষয়টি জানতে পেরে আসামী তার অবস্থান পরিবর্তন করে। সাইবার ক্রাইম টিম পুনরায় আসামীর অবস্থান নির্ণয়ের চেষ্টা করে গত ১৮ এপ্রিল ২০২১ রাত ১১.৩০ টায় বরিশালের হিজলা থানা পুলিশের সহায়তায় হিজলা থানার দূর্গম এলাকা পূর্ব কোরালিয়া গ্রাম হতে ভিকটিমকে উদ্ধার ও আসামীকে আটক করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী বরিশাল জেলার হিজলা থানার গুয়াবাড়িয়া গ্রামে বর্তমানে মহানগর গাজীপুরের গাছা থানার মোস্তাফা মসজিদ রোডের আবদুল আজিজ হাওলাদারের মেয়ে মোসাঃ সুমা বেগম।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।