আরএমপি নিউজ: সোমবার ব্রাসেলসে জরুরি বৈঠকে বসেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতা এবং কর্মকর্তারা। বেলারুশের বিরুদ্ধে সেখানে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দেশটির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তও ঘোষিত হয়েছে। বলা হয়েছে, বেলারুশের কোনো বিমান ইউরোপীয় ইউনিয়নের এয়ারস্পেস বা আকাশপথ ব্যবহার করতে পারবে না। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনো দেশে বেলারুশের বিমান নামতেও পারবে না। পাশাপাশি ইউরোপের বিভিন্ন বিমান সংস্থাও আপাতত বেলারুশে কোনো বিমান চালাবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
রোববার একটি প্যাসেঞ্জার বিমানকে বেলারুশের আকাশে নিয়ে যেতে বাধ্য করে সে দেশের সেনা। রীতিমতো ফাইটার জেট দিয়ে বিমানটিকে বেলারুশের বিমানবন্দরে নামানো হয়। রানওয়েতে নামার সঙ্গে সঙ্গে বিমানে উঠে পড়ে বেলারুশের সেনা জওয়ানরা। বলা হয়, বোমাতঙ্কের জন্য বিমানটিকে নামানো হয়েছে। কিন্তু রানওয়েতে বিমানটিকে নামিয়ে প্লেনের ভিতর থেকে বেলারুশের এক সাংবাদিক এবং ব্লগার রামান প্রাটাসেভিচকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বান্ধবীকেও ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। বিমান থেকে নামার সময় সহযাত্রীদের রামান বলেছিলেন, তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে।
এই ঘটনার পরেই তীব্র নিন্দার মুখে পরে বেলারুশের সরকার। কীভাবে একটি প্যাসেঞ্জার বিমানকে এভাবে নামানো হলো, তা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল শুরু হয়ে যায়। তারই জেরে সোমবার ব্রাসেলসে বিশএষ বৈঠকে বসেন ইইউ নেতারা। সেখানে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
নিষেধাজ্ঞা জারির পরে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের বিমানসংস্থাগুলি জানাতে শুরু করে, আপাতত তাদের বেলারুশের বিমান বন্ধ থাকবে। বেলারুশের উপর দিয়ে তাদের বিমান যাতায়াতও করবে না। লুফথান্সা, কেএলএম সকলেই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে দিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা দ্রুত সাংবাদিকের মুক্তি দাবি করেছেন। ইউক্রেন জানিয়েছে, তাদের কোনো বিমান বেলারুশের উপর দিয়ে যাবে না। যুক্তরাজ্যও একই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
বেলারুশ অবশ্য জানিয়েছে, তাদের কাছে খবর ছিল, হামাস ওই বিমানটিতে নাশকতা চালানোর চেষ্টা করছে। বিমানে বোমা রাখা হয়েছে। যদিও হামাসের এক মুখপাত্র বেলারুশের এই দাবি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে।
এ দিকে বেলারুশ প্রশাসন জানিয়েছে, সরকার বিরোধী কোনো প্রতিবাদের লাইভ দেখানো যাবে না। দেশের সংবাদসংস্থাগুলিকে নির্দেশিকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। যার প্রতিবাদ শুরু হয়েছে দেশের ভিতরেই।খবর:ডয়েচে ভেলে