তারুণ্যের জয়গান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভায়। জ্বলজ্বল করছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, অনুরাগ ঠাকুর, সর্বানন্দ সোনোয়াল, নিশীথ প্রামাণিক, শান্তনু ঠাকুরদের মতো তরুণ মুখ। বুধবার শপথ নিলেন ৪৩ জন মন্ত্রী। এর মধ্যে রয়েছেন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার ও প্রাক্তন আমলা।
মোদীর মন্ত্রিসভার রদবদলে বিবেচনায় এল শিক্ষাগত যোগ্যতা ও বয়স। ৪৩ জন মন্ত্রীর মধ্যে ২৪ জনই নতুন মুখ। এর মধ্যে রয়েছেন ১৩ আইনজীবী, ৬ চিকিৎসক, ৫ ইঞ্জিনিয়ার ও ৭ প্রাক্তন আমলা। মন্ত্রীদের গড় বয়স ৫৮। ১৪ জন মন্ত্রীর বয়স ৫০-র নীচে। জোর দেওয়া হয়েছে প্রশাসনিক অভিজ্ঞতাতে। ৪ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং ১৮ প্রাক্তন মন্ত্রীকে সামিল করা হয়েছে। তিন বার সাংসদ হয়েছেন ২৩ জন। কেন্দ্রীয় সরকারে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে ৪৬ জন সাংসদের।
নতুন মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী হিসেবে যাদের স্থান হয়েছে তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যেরই চার জন সংসদ সদস্য রয়েছেন। তারা হলেন- নিশীথ প্রামাণিক, জন বার্লা, সুভাষ সরকার ও শান্তনু ঠাকুর। বাকিরা হলেন- ডা. বীরেন্দ্র কুমার, জয়শ্রী দত্ত এম সিন্দিয়া, নারায়ণ রানে, সর্বানন্দ সোনোওয়াল, রামচন্দ্র প্রসাদ সিং, অশ্বিনী বিশ্বনাও, রাজকুমার সিং, হারদ্বীপ সিং পুরি, পশুপতি পরস, কিরেন রিজিজু, মানসুখ মান্দাভিয়া, ভুপেন্দ্র যাদব, পুরুষোত্তম রুপালা, জি. কিশান রেড্ডি, আওরং শিং ঠাকুর, পঙ্কজ চৌধুরী, শুভ্রা কারান্দলাজি, ভানু প্রতাপ সিং ভর্মা, দর্শনা ভিকরম জার্ডোশ, মিনাক্ষী লিখি, অনুপ্রিয়া সিং প্যাটেল, ডা. সত্যপাল সিং বাগাল, রাজিব চন্দ্র শেখর, অন্নপূর্ণা দেবি, এ. নারায়ণ স্বামী, কুশাল কিশোর, অজয় ভাট, বি. এল. ভার্মা, অজয় কুমার, ডা. সুবাস সরকার, ডা. ভগবতী কিশোর কারাদ, ডা. রাজকুমার রঞ্জন সিং, ডা. ভারতি প্রবীণ পাবর, চৌহান দেবুসিং, কাপিল মেরসাওয়ার পাতিল, ডা. মুঞ্জাপারা মাহেন্দ্রভাই, ডা. এল. মুরুগান এবং বিশ্বওয়ার টিডু।
কাজের নিরিখে বাদ পড়েছেন ১২ মন্ত্রী। এই তালিকায় হর্ষ বর্ধন, রবিশঙ্কর প্রসাদ, প্রকাশ জাভড়েকরদের মতো হেভিওয়েটরা আছেন। তেমনই কাজ মাপকাঠি হয়েছে প্রোমোশনে। প্রতিমন্ত্রী থেকে মন্ত্রী হয়েছেন ৭ জন। তাঁরা হলেন- অনুরাগ ঠাকুর, কিশান রেড্ডি, পুরষোত্তম রূপালা, মনসুখ মাণ্ডব্য, কিরন রিজিজু, আরকে সিং ও হরদীপ সিং পুরী।