Wednesday, 20 November 2024

   09:22:01 PM

logo
logo
পু‌লি‌শের হস্ত‌ক্ষে‌পে সংসার ফি‌রে পেলেন নারী

3 years ago

রাজধানীর যাত্রাবাড়ি এলাকা থেকে এক নারী বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংকে তার পারিবারিক সমস্যার কথা উল্লেখ করে বার্তা পাঠান। তিনি লিখেন, নয় বছর আগে প্রেম করে এক ছেলেকে বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের পর থেকেই তার স্বামী তার সাথে খারাপ আচরণ করতে থাকে। তার বাবা নেই। বিধবা মায়ের কাছে ফেলে রেখেছে তাকে। পাঁচ বছর বয়সের একটি মেয়ে ছিল। সেও মারা গেছে। দুই বছর বয়সের একটি ছেলে আছে এখন। দীর্ঘদিন তার স্বামী ও তার পরিবার বাচ্চা ও তার কোনো খোঁজখবর নেয় না। তার মায়ের এক কাঠার মতো ছোট্ট একটি জমি আছে গেন্ডারিয়ায়। সেখানে ঘর তুলে থাকে মায়ের সাথে। অনেক কষ্টে খেয়ে না খেয়ে থাকতে হচ্ছে। এই জমিটি বিক্রি করে স্বামীকে টাকা দিতে বলে স্বামী ও তার পরিবার। স্বামীর পরিবার স্বচ্ছল। তবুও, তার মায়ের কাছে টাকা চায়। নানা জায়গায় ও নানা জনের কাছে ধর্না দিয়েছেন তিনি। তার সমস্যার সমাধান হয়নি। স্বামীর পরিবার বলেছে, যতো পারো পুলিশের কাছে যাও, আদালতে যাও। দেখা যাবে। কোনো উপায়ান্তর না পেয়ে তিনি মেসেজ পাঠিয়েছেন। তবে, তিনি অনুরোধ করেছেন, তিনি কোনো মামলায় জড়াতে চান না।

তার স্বামীর বাড়ি ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানার অধীনে। তিনি সেখানেই থাকেন। তার বার্তা পেয়ে মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানার ওসি মু: আতাউর রহমানকে বার্তাটি পাঠিয়ে এ বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়। এর প্রেক্ষিতে, উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সক্রিয় অংশগ্রহন ও মধ্যস্থতায় বিষয়টির পারিবারিক সমাধান হয়। উল্লেখ্য, উক্ত নারীকে থানায় বা কোথায় যেতে হয়নি। তাকে তার বাসা থেকে অনলাইনে যুক্ত করেছে পুলিশ। স্বামী ও তার প‌রিবার‌কে জানা‌নো হ‌য়ে‌ছে, উক্ত নারী ও তার সন্তা‌নের অ‌ধিকারের প্র‌তি পূর্ণ সম্মান প্রদর্শণ ও তার বাস্তবায়ন কর‌তে। তা না হ‌লে, অ‌ভি‌যো‌গ পে‌লে আইনী ব্যবস্থা নি‌তে কো‌নো কার্পন্য কর‌বে না পু‌লিশ। দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান হওয়ায় এবং সম্মানজনকভাবে তার সংসার ফিরে পাওয়ায় উক্ত নারী বাংলাদেশ পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

উ‌ল্লেখ্য, ভুক্ত‌ভোগীর স‌র্বোচ্চ কল্যাণ ও সুরক্ষা বি‌বেচনায় প্র‌যোজ্য ক্ষে‌ত্রে ঘটনার সা‌থে সং‌শ্লিষ্ট ব্য‌ক্তি ও বিষয়াদির নাম প‌রিচয় প্রকাশ না করার প‌লি‌সি অনুসরন ক‌রে থা‌কে মি‌ডিয়া এন্ড পাব‌লিক রি‌লেশন্স উইং।