রঞ্জনের উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন আর অধরা নয়। অর্থাভাবে যার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হওয়া ছিল অনিশ্চিত, তিনি এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবেন। রঞ্জনের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার এ সুযোগ করে দিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভানেত্রী জীশান মীর্জা।
আজ (২৩ ডিসেম্বর) দৈনিক কালের কন্ঠ পত্রিকায় 'সুযোগ পেয়েও ঢাবিতে ভর্তি হতে পারছেনা রঞ্জন' শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ পুনাক সভানেত্রীর দৃষ্টি কাড়ে। মানবিক চেতনার ধারক মানব হিতৈষী জীশান মীর্জা তাৎক্ষণিক রঞ্জনের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। তিনি তাকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হওয়ার জন্য রঞ্জনকে ২০ হাজার টাকা প্রদান করেন পুনাক সভানেত্রী।
জীশান মীর্জার পক্ষে নীলফামারী জেলা পুনাক সভানেত্রী তাসমিয়া জান্নাত আজ সকালে নীলফামারী জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে রঞ্জন ও তার পিতা-মাতার হাতে এ অর্থ তুলে দেন।
রঞ্জনের বাড়ি নীলফামারীর ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ি ইউনিয়নের মিরাজগঞ্জ গ্রামে। তার বাবা রমেশ চন্দ্র রায় পেশায় দিনমজুর। মা নমিতা রাণী রায় গৃহিণী। পরিবারের সম্বল শুধু বসতভিটা। ছোট ভাই চন্দন রায় ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী।
অভাব-অনটনের মধ্যেও নিজের মেধা ও পরিশ্রমে রঞ্জন স্থান করে নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। মানবিক বিভাগ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়ে রঞ্জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'খ' ইউনিটে সংস্কৃতি বিভাগে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির জন্য ১৮ হাজার টাকা প্রয়োজন। তার দরিদ্র পিতার পক্ষে এ অর্থ সংগ্রহ করা কোনভাবেই সম্ভব হয়নি।
পুনাক সভানেত্রী জীশান মীর্জার সহায়তায় এখন তার উচ্চ শিক্ষার পথ সুগম হলো।
ছেলের বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হওয়ার জন্য আর্থিক সহায়তা পেয়ে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি রঞ্জন ও তার পিতা-মাতা। তারা গভীর কৃতজ্ঞতা জানান জীশান মীর্জার প্রতি।
এভাবেই সমাজের অসহায় ও দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের জীবনে আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন পুনাক সভানেত্রী জীশান মীর্জা।