আরএমপি নিউজঃ রাজশাহী মহানগরীতে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে রক্ত পরীক্ষার নামে রোগীর আত্মীকে মারপিট করা ও আটক রেখে জোরপূর্বক টাকা আদায়ের অভিযোগে দুই ভূয়া ডাক্তারকে আটক করেছে আরএমপি'র রাজপাড়া থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার কেশবপুরের মোঃ নজরুল ইসলামের ছেলে মোঃ সালমান শরিফ বাবু (৩৫) ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর থানার মকরমপুরের মোঃ মইদুল ইসলামের ছেলে মোঃ জাহিদুল ইসলাম জাহিদ (৩৭)। সে নগরীর রাজপাড়া থানার লক্ষীপুর কাঁচাবাজার এলাকার বাসিন্দা।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ জেলার আত্রাই থানার মাধবপুর গ্রামের মোঃ সিরাজুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৬ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ১৭ জানুয়ারি ২০২২ রাত ১০ টায় আসামী মোঃ সালমান শরিফ নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে সেই ওয়ার্ডে ভর্তি সিরাজুল ইসলামের শরীর হতে রক্ত নেয়। একই সাথে আরো কয়েকজন রোগীর শরীর হতে রক্ত নেয়। হাসপাতালের ডাক্তার মনে করে তারা রক্ত দেয়। রক্ত সংগ্রহের পর আসামী সালমান শরিফ রোগীর ছেলে সুমনকে ১ ঘন্টা পরে রাজশাহী ডায়াগনস্টিক সেন্টার হতে পরীক্ষার রিপোট সংগ্রহ করার জন্য বলে। সুমন আলী রাত ১১ টায় রাজশাহী ডায়াগনস্টিক সেণ্টারে তার বাবার পরীক্ষার রিপোর্ট চাইতে গেলে আসামীরা রিপোর্ট বাবদ ৪ হাজার টাকা দাবি করে। সুমন জানায়, সরকারী ডাক্তার ভেবে তারা পরীক্ষা করার জন্য রক্ত দিয়েছে। এতো টাকা দেওয়ার তাদের সামর্থ্য নেই। তাই সে তার বাবার কাগজ ফেরত চাইলে আসামী মোঃ সালমান ও মোঃ জাহিদুল ইসলাম জাহিদসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২ জন তাকে রাজশাহী ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আটক রেখে মারপিট করে এবং তার পকেটে থাকা ৪ হাজার ৫০ টাকা জোর করে কেড়ে নেয়। মোঃ সুমন আলীর এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজপাড়া থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়।
মামলা রুজু পরবর্তীতে রাজপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ মাজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে এসআই মোঃ শাহিন আকতার, এসআই কাজল কুমার নন্দী ও তাদের টিম আসামীদের অবস্থান সনাক্তপূর্বক গ্রেফতার অভিযান শুরু করেন।
পরবর্তীতে আজ ১৮ জানুয়ারি ২০২২ দুপুর পোনে ১ টায় রাজপাড়া থানা পুলিশের ঐ টিম লক্ষীপুর মোড় এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন আসামী মোঃ সালমান শরিফ বাবু ও মোঃ জাহিদুল ইসলাম জাহিদকে আটক করে।
সহযোগি অজ্ঞাতনামা আসামীদের নাম ঠিকানা সংগ্রহপূর্বক গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।