আরএমপি নিউজঃ রাজশাহী মহানগরীতে সরকারি বাড়ী পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণা করে স্বর্ণ, মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক প্রতারককে আটক করেছে আরএমপি’র রাজপাড়া থানা পুলিশ। এসময় আসামীর কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করা ভ্যানিটি ব্যাগসহ নগদ ৭ হাজার টাকা ও বিভিন্ন অলংকারাদী উদ্ধার হয়।
গ্রেফতারকৃত হলো মোঃ কুদ্দুস ওরফে ফিরোজ (৪৩)। সে রাজশাহী জেলার বাঘা থানার চকছাতারী গ্রামের মোঃ আব্দুল কাশেম মিয়ার ছেলে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, আসামী মোঃ কুদ্দুস গত ৩১ জানুয়ারি ২০২২ সকালে রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানার মোসাঃ নূর জাহান বেগমের বাড়ীতে গিয়ে নিজেকে রাজশাহী ডিসি অফিসের পিওন বলে পরিচয় দেয়। সে নূর জাহানকে জানায় তাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া সরকারি বাড়ি বরাদ্দ দেয়া হবে। এজন্য তাকে রাজশাহী জর্জকোর্টে যেতে হবে।
আসামী ফিরোজের কথা মত নূর জাহান বেগম ও তার মেয়ে রাজশাহী জর্জকোর্টে আসে। রাজশাহী জর্জকোর্ট বিল্ডিং এর সামনে তারা আসলে ফিরোজ তাদের বলে, তোমাদের গয়না ও মোবাইল গুলো একটা ব্যাগের মধ্যে রেখে দাও। এগুলো দেখলে বাড়ী বরাদ্দ দিবে না। ফিরোজের কথামত নূর জাহান বেগম ও তার মেয়ে তাদের বিভিন্ন অংলাকার, দুইটি মোবাইল ফোন ও নগদ সাড়ে ৭ হাজার টাকা ভ্যানিটি ব্যাগে রেখে দেয়। এরপর ফিরোজ তাদের বলে, বাড়ীর জন্য একটি ব্যাংক একাউন্ট করতে হবে এ জন্য তাদের কোর্ট বিল্ডিং এর ৩য় তলায় যেতে বলে। ফিরোজ ব্যাগটি তার কাছে রেখে যেতে বলে। তারা ব্যাগটি ফিরোজের কাছে রেখে বিল্ডিং এর ৩য় তলায় গেলে সেই সুযোগে ফিরোজ তাদের ভ্যানেটি ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়। নূর জাহান বেগমের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজপাড়া থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়।
মামলা রুজু পরবর্তীতে আরএমপি’র সম্মানিত পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ আবু কালাম সিদ্দিক মহোদয়ের নির্দেশনায় রাজপাড়া থানা পুলিশের একটি বিশেষ টিম আসামীর নাম ঠিকানা সনাক্তপূর্বক গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেন।
গতকাল ৩ জানুয়ারি ২০২২ রাতে আরএমপি সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহকারি পুলিশ কমিশনার জনাব উৎপল কুমার চৌধুরী পিপিএম ও তাঁর দলের দেয়া তথ্য প্রযুক্তি বিশ্লেষণ করে রাজপাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জনাব মোঃ মাইদুল ইসলামের নেতৃত্বে এসআই কাজল কুমার নন্দী ও তাদের টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাঘা থানার চকছাতারী গ্রামে বাঘা থানা পুলিশের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে ফিরোজকে গ্রেফতার করেন। এসময় ফিরোজের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করা ভ্যানিটি ব্যাগসহ নগদ ৭ হাজার টাকা ও বিভিন্ন অলংকারাদী উদ্ধার হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।