সূত্রোক্ত মামলার প্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে
যে, মামলার বাদী মোঃ মোজাম্মেল হক(৫২), পিতা-মৃত মোজাহার আলী সাং-মহানন্দাখালী, থানা-এয়ারপোর্ট,
মহানগর রাজশাহী (রাজশাহী জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরী ও কভারভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন এর নওহাটা
শাখার সদস্য) ইং-০৯/১২/২০১৯ তারিখ থানায় এসে থানা পুলিশের সহায়তায় ধৃত আসামী ১। মোঃ
লাবলু(২৮) পিতা- মোতালেব ভূইয়া, মাতা-মিনা বেগম, সাং-ভূইয়া বাড়ী (কালিয়া বাড়ী), থানা-কালিয়া,
জেলা-নড়াইলসহ পলাতক আসামী ২। মোঃ রুবেল ৩। মোঃ আলামিন উভয় ঠিকানা অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে
এই মর্মে টাইপকৃত অভিযোগ করেন যে, গত ইং-০৮/১২/২০১৯ তারিখ রাত্রী অনুমান ১১.৩০ ঘটিকার
সময় উপরোক্ত ০৩(তিন) জন আসামী বাদীর পবা থানাধীণ নওহাটাস্থ রাজশাহী জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরী
ও কভারভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন এর অফিসে এসে ভাড়া আছে কিনা জিজ্ঞাসা করে। বাদী তখন বাদীর
অন্যান্য সহকর্মীসহ ট্রাক-শ্রমিক ইউনিয়ন অফিসে বসে ছিল। পরে বাদী তাদের বলে যে, ভাড়া
আছে বরিশাল। তবে আগামীকাল সকাল ১০.০০ টায় আমাদের অফিসে আসেন। পরে বিবাদীগন চলে যায়।
ইং ০৯/১২/২০১৯ তারিখ সকাল অনুমান ০৯.৪৫ ঘটিকার সময় উপরোক্ত ০৩(তিন) জন আসামী বাদীর
শ্রমিক ইউনিয়ন এর অফিসে আসে এবং ১নং আসামী লাবলু বরিশাল রোডে ভাড়া নিয়ে যাওয়ার রাজি
হওয়ায় প্রেক্ষিতে ২১ টন আলু নিয়ে বরিশাল সদর যাওয়ার জন্য তাহাদের সাথে ১৯০০০/-(উনিশ
হাজার) টাকা ভাড়া নির্ধারন করেন। একপর্যায়ে তারা প্রস্তাবে রাজি হয়। পরে ট্রাক শ্রমিক
অফিসের চালান প্রস্তুত করে এবং ১নং আসামী ড্রাইভার লাবলুর প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ফটোকপি
দিতে বলে। তখন বিবাদী লাবলু বাদীকে গাড়ী রেজিঃ নং- ঢাকা মেট্রো-ট-১৩-১৮০২ এর ব্লু-বুক,
ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফটোকপি দেয়। উক্ত নাম্বারের কাভার্ডভ্যানের কাগজপত্র যাচাই বাছাই
করতে গিয়ে ভূয়া বা জাল মনে হয়। বাদী তখন তার সঙ্গীয়দের বলে, কাগজপত্রের সাথে গাড়ীর
নাম্বার প্লেট একটু মিলিয়ে দেখতে। ঐ সময় ১নং আসামী লাবলু বাদীর সামনে বসে থাকলেও বাকী
দুইজন আসামী অফিস থেকে বাহিরে যায়। পরে গাড়ীর নাম্বার প্লেটটির সংযুক্ত নাট নতুন হওয়ায়
বাদীর আরো সন্দেহ হয়। তখন বাদী থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে ১নং আসামী লাবলু পালানোর চেষ্টা
করলে বাদীসহ সঙ্গীয়রা তাকে আটক করে এবং বাঁকী ২(দুই) জন কৌশলে পালিয়ে যায়। থানা পুলিশ
এসে কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে এবং জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে ১নং আসামী
লাবলু স্বীকার করে যে, উক্ত কাভার্ডভ্যানের সাথে সংযুক্ত নাম্বার প্লেটটি ভূয়া এবং
কাগজপত্রগুলোও জাল। সে আরো জানায় পলাতক দুইজন আসামী তাহার সহযোগী এবং তাদের উপরোক্ত
নাম বলে জানায়। পরে পুলিশ অফিসার অনেক লোকজনের উপস্থিতিতে কাভার্ডভ্যানের কেবিন তল্লাশী
করে উক্ত কাভার্ডভ্যানের আরো ০২(দুই) টি একই নাম্বারের দুইটি
নাম্বার প্লেট ও উক্ত নাম্বারের আনুসাঙ্গিক কাগজপত্র প্রাপ্ত হয়। যাহার রেজিঃ নং- ঢাকা
মেট্রো-ট-২০-৪১৮৮। ১নং আসামী লাবলু আরো জানায় যে, উক্ত কাভার্ডভ্যানের আসল নাম্বার প্লেট ও রেজিষ্টিশন নাম্বার হচ্ছে
ঢাকা মেট্রো-ট-২০-৪১৮৮। পরে পবা থানা পুলিশ অফিসার (১). ঢাকা মেট্রো-ট-১৩-১৮০২ নাম্বার
প্লেট লাগানো কাভার্ডভ্যান (২). ০২ টি একই রংয়ের ও আকৃতির ঢাকা মেট্রো-ট-২০-৪১৮৮ রেজি
নং এর নাম্বার প্লেট, (৩). ঢাকা মেট্রো-ট-১৩-১৮০২ নাম্বারের জালকৃত কাগজপত্র (৪) ঢাকা
মেট্রো-ট-২০-৪১৮৮ নাম্বারের কাভার্ডভ্যানে কাগজপত্র (৫). মালামাল চালান (৬). ড্রাইভিং
লাইসেন্স কপি জব্দ করেন। আসামীগন আমাদের নিকট ভাড়া নেয়ার সময় কাভার্ডভ্যানের
সামনে ও পিছনে লাগানো নাম্বার প্লেট নং- ঢাকা মেট্রো-ট-১৩-১৮০২ ও একই নাম্বারের কাগজপত্র
প্রতারনার উদ্দেশ্যে জালিয়াতি করে বাদীর নিকট উপস্থাপন করেছে। প্রকাশ থাকে যে, গত ০১/১২/২০১৯
তারিখ একই ভাবে ১৭ টন আলুসহ একটি ট্রাক(রেজিঃ নং- ঢাকা মেট্রো ট-২০-৫১২৩) ময়মনসিংহ
জেলার উদ্দেশ্যে ভাড়া গিয়ে অদ্যবধি পর্যন্ত ট্রাক ও আলুর কোন সন্ধান পাওয়া যায় নাই।
ধারনা করা হচ্ছে উক্ত আসামীরাই ইতিপূর্বে ১৭ টন আলু জালিয়াতির মাধ্যমে প্রতারনা করে
নিয়ে গেছে।
বর্নিত ঘটনার প্রেক্ষিতে সূত্রোক্ত মামলা
রুজু হয়। এসআই(নিঃ) মোঃ আকতার হোসেন, পবা থানা, আরএমপি, রাজশাহীকে মামলাটির তদন্তের
দায়িত্বভার অর্পন করা হয়েছে।