আরএমপি নিউজ : রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানাধীন সপুরা বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় চোর সন্দেহে দুই নির্মাণ শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বাড়ির মালিক ও তার শ্বশুর-সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে আরএমপি বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার সপুরা বিসিক এলাকার মো: আব্দুল মালেকের ছেলে মো: আব্দুল্লাহ, এয়ারপোর্ট থানার বায়া বাড়ইপাড়ার মৃত মনির উদ্দিনের ছেলে মো: মাসুম রেজা (৫০), মো: শফিকুল ইসলামের ছেলে মো: মঈন উদ্দিন রিয়াল (১৯) ও রাজপাড়া থানার সিলিন্দা বাগানপাড়ার মো: মোশারফের ছেলে মো: ইমরান (২১)।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, আসামি আব্দুল্লাহ’র বাড়ীতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানার চৈতন্যপুর গ্রামের মো: রাকিবুল ইসলাম হেড মিস্ত্রি এবং নওগাঁ জেলার মান্দা থানার সাগুনিয়া গ্রামের মো: রেজাউল করিম (৫০) লেবার মিস্ত্রী হিসেবে নির্মাণ কাজ করছিল। গত ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ৩ ঘটিকায় আসামি আব্দুল্লাহ’র বাড়ীতে টাকা চুরি সন্দেহে আব্দুল্লাহ ও তার সহযোগীরা মিলে রাকিবুল ও রেজাউলকে রশি দিয়ে বেঁধে লোহার রড ও গাছের ডাল দিয়ে পিটিয়ে এবং পায়ের নখ উপরিয়ে গুরুত্বর আহত করে।
আশপাশের লোকজন রাত ৯ ঘটিকায় জরুরী সেবা ৯৯৯-এর মাধ্যমে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশকে ঘটনাটি জানায়। বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে রাকিবুল ও রেজাউলকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে যায়।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রাকিবুলকে মৃত ঘোষণা করেন। রেজাউল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন।
পরবর্তীতে আরএমপি’র সম্মানিত পুলিশ কমিশনার মো: আনিসুর রহমান, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) মহোদয়ের সার্বিক নির্দেশনায় উপ-পুলিশ কমিশনার (বোয়ালিয়া) মো: আরেফিন জুয়েলের তত্ত্বাবধানে বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মাজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে এসআই মো: সোহেল রানা ও তার টিম অভিযান পরিচালনা করে আসামি মো: আব্দুল্লাহ, মো: মাসুম রেজা, মো: মঈন উদ্দিন রিয়াল ও মো: ইমরানকে গ্রেফতার করেন।
রাকিবুল ইসলামের স্ত্রী মোসা: সুমা খাতুনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেফতারকৃত আসামিদের-সহ আরো অজ্ঞাত ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়।
পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।