আরএমপি নিউজ : রাজশাহী মহানগরীতে অটোক্সিায় ফেলে যাওয়া এক যাত্রীর ব্যাগ, মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা উদ্ধার করে হস্তান্তর করেছে পুলিশ সার্জেন্ট মো: রাশিদুল ইসলাম।
সার্জেন্ট মো: রাশিদুল ইসলাম রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানার চরআশড়াদহ গ্রামের মাদ্রাসা ছাত্র মো: মিকাইল হোসেন গতকাল ১৫ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ সকালে তার মা-বোনকে সঙ্গে নিয়ে রাজশাহী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। তাকে বহনকারী অটোরিক্সাটি কাশিয়াডাঙ্গা মোড়ে পৌঁছালে সেখানে দায়িত্বরত সার্জেন্ট রাশিদুল অটোরিক্সার লাইসেন্স চেক করার জন্য অটোক্সিাটি থামান। অটোক্সিার চালক লাইসেন্স প্রদর্শন করতে ব্যার্থ হওয়ায় সার্জেন্ট রাশিদুল সেই অটোরিক্সার চালককে মামলা দিচ্ছিলেন।
এসময় মিকাইল তার মা-বোনকে নিয়ে অন্য অটোরিক্সায় উঠেন। কিন্তু ভুলক্রমে আগের অটোরিক্সায় তার ব্যাগটি ফেলে আসেন। তারা মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে রাজশাহী কোর্টের সামনে এসে নামেন। অটোরিক্সা থেকে নামার পর সে বুঝতে পারে তার ব্যাগটি আগের অটোরিক্সায় ফেলে এসেছে। তখন বিষয়টি সে কোর্ট এলাকায় দায়িত্বরত পুলিশ সার্জেন্ট ইমরানকে জানায়। ইমরান তৎক্ষণাৎ সার্জেন্ট রাশিদুলকে ওই যাত্রীর হারানো ব্যাগ, মোবাইল ও টাকার বিষয়টি অবগত করেন। সার্জেন্ট রাশিদুল মামলার বহি দেখে অটোরিক্সা চালকে শনাক্ত করেন। অটোরিক্সার চালকের বাড়ি কাশিয়াডাঙ্গা থানার টুলটুলি পাড়ায়।
এরপর সার্জেন্ট রাশিদুল টুলটুলি পাড়ায় অটো চালকের বাড়িতে যান এবং ব্যাগের খোঁজ করেন। তারপর অটো চালকের সহায়তায় সেই অটোরিক্সা থেকে মিকাইলের ফেলে যাওয়া ব্যাগটি উদ্ধার হয়। মূলত অটোরিক্সা চালক নিজেও জানতেন না যে, ব্যাগটি তার অটোক্সিায় পরে ছিলো।
পরবর্তীতে তিনি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মিকাইলকে তার হারানো ব্যাগটি পাওয়া গেছে বলে জানায়। মিকাইল তার মা-বোকে সঙ্গে নিয়ে সকাল ১১:০০ টায় কাশিয়াডাঙ্গা মোড়ে পুলিশ সার্জেন্ট রাশিদুল ইসলামের দেখা করেন। সার্জেন্ট রাশিদুল উদ্ধারকৃত ব্যাগটি তাদের কাছে হস্তান্তর করেন। ব্যাগে ৯ হাজার টাকা-সহ একটি মোবাইল ফোন ছিলো।
মিকাইল ও তার মা-বোন মোবাইল ফোন ও টাকা ফেরত পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত। তাঁরা সার্জেন্ট রাশিদুল ইসলাম-সহ ব্যাগ উদ্ধারের সাথে সংশ্লিষ্ট আরএমপি’র সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।