Friday, 15 November 2024

   11:15:42 PM

logo
logo
টানা ৪ বছর ধরে বিশ্বসেরা গবেষকের তালিকায় পুলিশের এসআই কামরুজ্জামান

10 months ago

টানা ৪ বছর ধরে বিশ্বসেরা গবেষকের তালিকায় পুলিশের এসআই কামরুজ্জামান

বিশ্বব্যাপি সেরা বিজ্ঞানী ও গবেষকদের নিয়ে নিয়মিত বার্ষিক তালিকা প্রকাশ করে থাকে বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিং প্রস্তুতকারী সংস্থা আলপার ডগার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স।

এবার সায়েন্টিফিক ইনডেক্সের তালিকায় বাংলাদেশের ২০১টি বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের ১০ হাজার ৩৩ জন গবেষক ও বিজ্ঞানী স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছেন।

বিশ্বসেরা গবেষক ও বিজ্ঞানিদের নিয়ে প্রকাশিত এই তালিকায় বরাবরের মতো স্থান করে নিয়েছেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) ক্রিমিনোলজি এন্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী মো. কামরুজ্জামান। বর্তমানে তিনি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) কর্মরত রয়েছেন।

মো. কামরুজ্জামান মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১৯ গবেষকের মধ্যে ৭ম স্থানে এবং বাংলাদেশে ৭০৫তম স্থানে রয়েছেন। এছাড়া ল অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ ক্যাটাগরির ক্রিমিনোলজি, ভিকটিমোলজি ও এ সংক্রান্ত বিষয়ে গবেষণায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ম, বাংলাদেশে ২য়, এশিয়ায় ১১৭ এবং বিশ্বে ২ হাজার ৫১তম স্থানে রয়েছেন।

জানা যায় ২০১৯ সালে পুলিশের উপপরিদর্শক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। চাকরির পাশাপাশি দীর্ঘ ৮ বছর ধরে অপরাধাবিজ্ঞান সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে নিরলস গবেষণা করে আসছেন। আগামীতেও তিনি দেশের অপরাধের ধরণ ও কারণ অনুসন্ধান, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, পুলিশের সার্বিক সংস্কার ও আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে এ সকল গবেষণা তিনি চলমান রাখবেন।

২০২১ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্স প্রকাশিত বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় স্থান পেয়েছেন কামরুজ্জামান। ২০২১ সালের পর থেকে প্রতি বছরই মাভাবিপ্রবির গবেষকদের মধ্যে সেরা দশে স্থান পেয়েছেন মাভাবিপ্রবির সাবেক এই শিক্ষার্থী। এছাড়া বিষয়ভিত্তিক ক্যাটাগরিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ও দেশে প্রথমসারিতে স্থান পেয়ে আসছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্সের ২০২৪ সালে প্রকাশিত তালিকায় বিশ্বের ২১৯টি দেশের ২২ হাজার ৭৬৭টি বিশ্ববিদ্যালয় ও সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মোট ১৪ লাখ ৪৩ হাজার ৯৩ জন বিজ্ঞানী ও গবেষক স্থান পেয়েছেন।

প্রসঙ্গত, এডি’র সায়েন্টিফিক ইনডেক্স সূচকটিতে গবেষকদের বিশ্লেষণ ও বিষয়গুলো নির্দিষ্ট ক্যাটাগরিতে গণ্য করা হয়। কৃষি ও বনায়ন, কলা, নকশা ও স্থাপত্য, ব্যবসায় ও ব্যবস্থাপনা, অর্থনীতি, শিক্ষা, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি, ইতিহাস দর্শন ও ধর্মতত্ত্ব, আইন, চিকিৎসা, প্রকৃতিবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞানসহ মোট ১২টি ক্যাটাগরিতে প্রতি বছর এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।