রাজশাহী আবহাওয়া পর্যাবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীতে আজ বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি।
এদিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা কিছুটা কমলেও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ছে। দুপুর দেড়টা পর্যন্ত দেখা মেলেনি সূর্যের। এমন অবস্থায় নগরীতে কাজে আশা নিম্ন আয়ের মানুষদের শীত উপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে কাজ করতে দেখা গেছে।
অটোরিকশাচালক সাইফুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, সকালে বেশি কুয়াশা ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা কমতে থাকে। তবে সারাদিন সূর্যের দেখা মেলেনি। ফলে সূর্যের তাপ ছিল না সারাদিন। এতে করে বেশি শীত অনুভূত হয়েছে। রিকশা চালানোর সময় ঠান্ডা বাতাস লাগছে। আর বৃষ্টির মতো পড়া কুয়াশার কারণে জ্যাকেট ভিজে গেছে।
পবা পাড়িলা ইউনিয়ন থেকে নগরীতে কাজের সন্ধানে আসা তালাইমারী মোড়ে বসে থাকা নির্মাণশ্রমিক রাকিব আলী বলেন, শীতের কারণে কামকাজ কম। গত দুই দিন এসে কাজ না পেয়ে ফিরে গেছি। অনেকেই ফিরে যাচ্ছে।
অপরদিকে, কুয়াশার কারণে বোরো ধানের বীজতলা লালচে ও হলুদ বর্ণের হয়ে গেছে। কৃষি অফিস বলছে পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। একই সঙ্গে ধানের বীজ থেকে কুয়াশা ফেলে দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
নগরীর বুধপাড়া এলাকায় কৃষি জমিতে ঢেঁড়সের বীজ বপনের কাজ করছেন শামীম। তিনি জানান, কুয়াশার মতো বৃষ্টি পড়ে কাপড় ভিজে যাচ্ছে। খালি পায়ে মাটিতে দাঁড়িয়ে থেকে কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে। তারপরও উপায় নেই, কাজ করতেই হবে।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন বলেন, কুয়াশা ও মেঘ রয়েছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কাছাকাছি থাকায় বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। এ ছাড়া বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।