আরএমপি নিউজ : গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি এবং ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে ইজতেমায় আগত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ।
পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের পক্ষ থেকে এসব নির্দেশনা মানতে মুসল্লিদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। নির্দেশনায় ইজতেমায় নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিতে এবং প্রয়োজনে সহযোগিতা নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে ইজতেমাস্থলের নিকটস্থ পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে।
নির্দেশনার মধ্যে আরও আছে, নির্ধারিত খিত্তায় অবস্থান করতে হবে। অপরিচিত ও সন্দেহভাজন ব্যক্তি কিংবা কোনো পোঁটলা, ব্যাগ বা সন্দেহজনক বস্তু দেখামাত্র তাৎক্ষণিকভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের অবহিত করতে হবে। টাকা, মূল্যবান সামগ্রীসহ একা বিক্ষিপ্তভাবে ঘোরাফেরা করা যাবে না। টাকা ও মূল্যবান সামগ্রী সব সময় নিজ হেফাজতে রাখতে হবে। টাকা ও মূল্যবান সামগ্রী চুরি হলে বা হারালে তাৎক্ষণিকভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের জানাতে হবে।
নির্দেশনায় আরও আছে, হকার ও ভ্রাম্যমাণ ফেরিওয়ালাদের কাছ থেকে খাদ্য বা পানীয় গ্রহণে অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে। কাজেই এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। মুসল্লিদের নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন চলাচলের সুবিধার্থে ইজতেমা চলাকালে প্রধান সড়ক ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় তাঁবু খাটানো যাবে না। কিংবা অন্য কোনোভাবে সড়ক ও পার্শ্ববর্তী এলাকা ব্যবহার করা যাবে না।
অসুস্থ হলে ইজতেমার জন্য নির্ধারিত অস্থায়ী হাসপাতাল ও নিকটবর্তী হাসপাতাল, স্বাস্থ্যসেবা কর্মী বা প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স। গুজব শুনলে বা কোনো প্রকার দুর্ঘটনা ঘটলে ধৈর্যসহকারে সাহসিকতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতা করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, ট্রেনে নাশকতা সম্পর্কে তথ্য জানলে তাৎক্ষণিকভাবে নিকটস্থ থানা কিংবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের জানাতে হবে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে ট্রেনে কিংবা অন্য কোনো যানবাহনে চলাচল করা যাবে না।
রান্না করার সময় সতর্ক থাকতে হবে, যাতে কোনো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা না ঘটে। খিত্তা এলাকায় বা নিজেদের অবস্থানস্থলে ধূমপান করা যাবে না। খিত্তায় সব সময় পানি মজুত রাখতে হবে বলেও পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।
নির্দেশনায় আরও আছে, ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে চলাচল উন্মুক্ত রাখার উদ্দেশ্যে ঢাকা মহানগরীর প্রগতি সরণি থেকে টঙ্গী ফ্লাইওভার পর্যন্ত, গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী ফ্লাইওভার থেকে চৌরাস্তা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার প্রধান সড়কের ৫০ গজের মধ্যে মাইক লাগানো যাবে না।
নির্দেশনার পাশাপাশি ইজতেমাস্থলে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের মুঠোফোন নম্বরও সরবরাহ করেছে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স। এসব নম্বর হলো-
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ
উপ-পুলিশ কমিশনার, উত্তরা: ০১৩২০-০৪১৭৪০; অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এয়ারপোর্ট): ০১৩২০-০৪১৭৪১; অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণখান): ০১৩২০-০৪১৭৪২; অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তরা): ০১৩২০-০৪১৭৪৩; সহকারী পুলিশ কমিশনার (উত্তরা): ০১৩২০-০৪১৭৫৪, সহকারী পুলিশ কমিশনার (এয়ারপোর্ট): ০১৩২০-০৪১৭৫৭; সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তরা পশ্চিম জোন): ০১৩২০-০৪৩৯৫৫; অফিসার ইনচার্জ, উত্তরা পূর্ব থানা: ০১৩২০-০৪১৭৮৯; অফিসার ইনচার্জ, উত্তরা পশ্চিম থানা: ০১৩২০-০৪১৮১৭; অফিসার ইনচার্জ, তুরাগ থানা: ০১৩২০-০৪১৮৪৫; ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম: ০১৭১১-০০০৯৯০।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ
উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ): ০১৩২০-০৭০৩৩০; অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ): ০১৩২০-০৭০৬৪১; সহকারী পুলিশ কমিশনার (টঙ্গী জোন): ০১৩২০-০৭০৬৫৮; অফিসার ইনচার্জ, টঙ্গী পশ্চিম থানা: ০১৩২০-০৭০৭৫১; ডিউটি অফিসার, টঙ্গী পশ্চিম থানা: ০১৩২০-০৭০৭৫৯; অফিসার ইনচার্জ, টঙ্গী পূর্ব থানা: ০১৩২০-০৭০৭২২; ডিউটি অফিসার্র, টঙ্গী পূর্ব থানা: ০১৩২০-০৭০৭৩০; ডিউটি অফিসার্র, টঙ্গী পূর্ব থানা: ০১৩২০-০৭০৭৩০; ইজতেমা কন্ট্রোল রুম (হটলাইন): ০১৩২০-০৭২৯৯৯; কন্ট্রোল রুম, জিএমপি: ০১৩২০-০৭২৯৯৮; ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম: ০১৩২০-০৭১২৯৮।
র্যাব
র্যাব-১ কন্ট্রোল রুম: ০১৭৭৭৭১০১৯৯; র্যাব হেডকোয়ার্টার্স কন্ট্রোল রুম: ০১৭৭৭৭২০০২৯।