৯০ মিনিট ততক্ষণে পেরিয়ে গেছে। ম্যাচে তখনও সমতা। যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে ভুলটা করে বসলেন কো ইতাকুরা। জাপানের এই ডিফেন্ডার নিজেদের বক্সে পেছন থেকে ফেলে দিলেন প্রতিপক্ষের হোসেন কানানিকে। বাজল পেনাল্টির বাঁশি। স্পট কিকে বল জালে পাঠালেন ইরানের অধিনায়ক আলিরেজা জাহানবাখশ। রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে এশিয়ান কাপের চারবারের রেকর্ড চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে সেমি-ফাইনালে উঠল ইরান।
কাতারের আল রাইয়ানের এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে শনিবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) কোয়ার্টার-ফাইনাল পিছিয়ে পড়েও ২-১ গোলের দারুণ জয় পায় ইরান। ২০০৫ সালের মার্চের পর এই প্রথম জাপানকে হারাতে পারল তারা। দলটির অপরাজেয় যাত্রা বেড়ে গেল টানা ১৬ ম্যাচে।
ম্যাচের শুরুটা ভালো করে জাপান। ২৮তম মিনিটে প্রতিপক্ষের চার ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন হিদেমাসা মোরিতা। ইরান সমতায় ফেরে ৫৫তম মিনিটে। সতীর্থের পাস বক্সে পেয়ে গোলটি করেন মোহাম্মদ মোহেবি। এরপর শেষ সময়ে আলিরেজার ওই পেনাল্টি গোল এবং ইরানের জয়োল্লাস। রেফারির শেষ বাঁশি বাজতেই ডাগআউট থেকে ছুটে আসেন ইরানের খেলোয়াড় ও স্টাফরা। মাঠে শুয়ে পড়েন কেউ কেউ। কারও চোখে দেখা যায় আনন্দাশ্রু জল। উল্লাস-উদযাপন যেন শেষই হয় না!
সৌদি আরবের সঙ্গে এশিয়ান কাপের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তিনবারের চ্যাম্পিয়ন ইরান। ১৯৬৮, ১৯৭২, ১৯৭৬- টানা তিন আসরে শিরোপা জয়ের পর অবশ্য আর কখনও ফাইনালে খেলতে পারেনি তারা। গত আসরে বিদায় নেয় সেমি-ফাইনাল থেকে। আরেকবার তাদের সামনে ফাইনালে ওঠার হাতছানি।
আগের দিন শেষ আটের আরেক ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প রচনা করে দক্ষিণ কোরিয়াও। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়া দলটি সমতায় ফেরে দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ের ষষ্ঠ মিনিটের পেনাল্টি গোলে। পরে অতিরিক্ত সময়ে ফ্রি কিক থেকে তারকা ফরোয়ার্ড সন হিউং-মিনের গোলে ২-১ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে দুইবারের চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ কোরিয়া।
সূত্র: বিডি-প্রতিদিন