আরএমপি নিউজ: গত মাসে আলমেরিয়ার বিপক্ষে ভিএআরের দেওয়া বিতর্কিত সিদ্ধান্তে রিয়াল মাদ্রিদের জয়ে তুলকালাম হয়েছে। সেই ম্যাচের পর রিয়ালের প্রতি রেফারির পক্ষপাতিত্বের বেশ কিছু অভিযোগও সামনে আসে। এমনকি বিষয়টি নিয়ে সরাসরি মন্তব্য করেন রিয়ালের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল বার্সেলোনার কোচ জাভি হার্নান্দেজ ও সভাপতি হোয়ান লাপোর্তাও। জাভি সেই ম্যাচটিকে দেখেছেন রিয়ালের ‘ছিনতাই’ হিসেবে। তিনি অবশ্য এটুকুতেই থামেননি, একাধিকবার রেফারিং নিয়ে মন্তব্য করেছেন বার্সা কোচ। আর বার্সা সভাপতি লাপোর্তার কাছে রিয়ালের জয় ছিল ‘দুঃখজনক’ ঘটনা।
এ ঘটনায় পরে রেফারিদের কমিটি (সিটিএ) দুটি ভুলও খুঁজে পায়। এরপরও অবশ্য থামেনি এ আলোচনা। তবে ভিএআরের সিদ্ধান্তে সেই ম্যাচে রিয়ালের লাভ হলেও, সামগ্রিকভাবে লা লিগায় ভিএআর ব্যবহারে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দল কিন্তু ‘লস ব্লাঙ্কোস’রাই। সম্প্রতি ফুটবলের পরিসংখ্যান বিষয়ক এক্স অ্যাকাউন্ট মিস্টার চিপের দেওয়া এক পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে এ চিত্র।
পরশু রাতে সেভিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের ১০ মিনিটে গোল করেন রিয়াল তারকা লুকাস ভাসকেজ। কিন্তু ভিএআরের ফাঁদে বাতিল হয় সেই গোল। ভিএআরের গোল যাচাইয়ের সময় দেখা যায়, আক্রমণ গড়ার সময় রিয়াল তারকা নাচো সেভিয়ার ইউসেফ এন-নেসিরিকে ফাউল করেছেন। যে কারণে বাতিল করা হয় রিয়ালের গোলটি।
পরে লুকা মদরিচের গোলে রিয়াল শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিতলেও বাতিল গোল নিয়ে আলোচনা হয়েছে অনেক। রিয়াল মাদ্রিদ টিভির ধারাভাষ্যকাররাও গোলটি কেন বাতিল হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ও রেফারিকে একহাত নেন। এরপরই মূলত ভিএআরে গোল বাতিলের পরিসংখ্যানটি সামনে এনেছে মিস্টার চিপ।
২০১৮-১৯ মৌসুমে লা লিগায় ভিএআর চালু করার পর রিয়ালের গোল বাতিল হয়েছে ২৭টি। লা লিগায় সবচেয়ে বেশি গোল বাতিল হয়েছে রিয়ালেরই। এ তালিকায় রিয়ালের আশপাশেও নেই অন্যরা। রিয়ালের পর ১৬টি বাতিল গোল নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে সেভিয়া। অর্থাৎ দুইয়ে থাকা সেভিয়ার চেয়ে ১১টি বেশি গোল বাতিল হয়েছে রিয়ালের।
১৪টি করে বাতিল গোল হয়েছে আতলেতিকো মাদ্রিদ ও ভ্যালেন্সিয়ার। ১৩ গোল নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে আছে রিয়াল সোসিয়েদাদ। ছয়ে থাকা সেল্তা ভিগোর বাতিল গোলের সংখ্যা ১২। এরপর ৭ নম্বরে আছে জাভি হার্নান্দেজের বার্সেলোনা। কাতালান পরাশক্তিদের ভিএআর চালু হওয়ার পর গোল বাতিল হয়েছে ১১টি।