আরএমপি নিউজ : আজ ৩১ মার্চ ২০২৪ খ্রি. সকাল ১১:০০ টায় রাজশাহীর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের চত্তরে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পুলিশ সুপার শাহ্ আবদুল মজিদের ম্যূরালে বিনম্র শ্রদ্ধায় পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করলেন রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মো: আনিসুর রহমান, বিপিএম(বার), পিপিএম(বার) ও রাজশাহীর পুলিশ সুপার মো: সাইফুর রহমান, পিপিএম(বার)। এসময় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন অ্যান্ড ফিন্যান্স) মো: রশীদুল হাসান, পিপিএম ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো: হেমায়েতুল ইসলাম, রাজশাহী রেঞ্জের আ্যাডিশনাল ডিআইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) বিজয় বসাক, বিপিএম, পিপিএম(বার), রাজশাহীর আরআরএফ-এর কমান্ড্যান্ট দীন মোহাম্মদ, সিআইডি রাজশাহীর বিশেষ পুলিশ সুপার মো: আব্দুল জলিল, পিপিএম এবং রাজশাহী মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আব্দুল মান্নান-সহ রাজশাহীস্থ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
পুষ্পাঞ্জলি অর্পণের অব্যবহিত পরেই শহিদ ডিআইজি মামুন মাহমুদ ও শহিদ পুলিশ সুপার শাহ আবদুল মজিদের স্মরণে রাজশাহীর পুলিশ লাইনস্-এর ড্রিলশেডে আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। উক্ত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মো: আনিসুর রহমান, বিপিএম(বার), পিপিএম(বার) এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন অ্যান্ড ফিন্যান্স) মো: রশীদুল হাসান, পিপিএম মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ ডিআইজি মামুন মাহমুদ ও শহিদ পুলিশ সুপার শাহ্ আবদুল মজিদের অবদান কৃতজ্ঞতাভরে বর্ণনা করেন। এ আলোচনাসভার সভাপতিত্ব করেন রাজশাহীর পুলিশ সুপার মো: সাইফুর রহমান, পিপিএম(বার)।
রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মো: আনিসুর রহমান, বিপিএম(বার), পিপিএম(বার) তাঁর বক্তব্যে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশমাতৃকার স্বাধীনতা অর্জনের পথে অবদান রাখার লক্ষ্যে ডিআইজি মামুন মাহমুদ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাজশাহী রেঞ্জের পুলিশ সদস্যদের সংগঠিত করেছিলেন। নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েছেন, তবুও তিনি পাকিস্তানিদের নিকট মাথা নত করেননি। রাজশাহীতে মুক্তিযোদ্ধাগণ যাতে শক্তিশালী হতে না পারে, সেজন্য পাকিস্তানি বাহিনী তাঁকে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ গুম করে।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন অ্যান্ড ফিন্যান্স) মো: রশীদুল হাসান, পিপিএম বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, শহিদ পুলিশ সুপার শাহ্ আবদুল মজিদ পাকিস্তানিদের পরাভব মেনে না নিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রারম্ভে রাজশাহীর পুলিশ লাইনস্-এ পুলিশ সদস্যদের সংগঠিত করে তাদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। তিনি ১৯৭১ সালের ৩১ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার হয়ে রাজশাহীর পদ্মার তীরে শাহাদত বরণ করে চির অমরত্ব লাভ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে রাজশাহীর পুলিশ সুপার মো: সাইফুর রহমান, পিপিএম(বার) বলেন, শহিদ ডিআইজি মামুন মাহমুদ ও শহিদ পুলিশ সুপার শাহ আবদুল মজিদ জীবনের ঝুঁকি নিয়েছেন বলেই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। যে বীরত্ব তাঁরা দেখিয়েছেন, তার জয়গান যুগযুগ বহমান থাকবে।