আরো একবার স্বপ্নভঙ্গ প্যারিসবাসীর। আবারো বাড়ল অধরা চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে চুমু খাওয়ার অপেক্ষা। ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের সাথে পেরে উঠল না পিএসজি। ঘরের মাঠে উজ্জীবিত ফুটবল উপহার দিলেও শেষ পর্যন্ত ফের আক্ষেপ হলো সঙ্গী।
মঙ্গলবার রাতে পিএসজির ঘরের পার্ক দে প্রিন্সেসে ১-০ গোলে জিতেছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। নিজেদের ঘরের মাঠে প্রথম লেগে ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল বরুশিয়া। আর এবার দ্বিতীয় লেগে ব্যবধান ২-০ করে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে জার্মান জায়ান্টরা।
উৎসবের আমেজ নিয়েই গতরাতে ঘরের মাঠে ডর্টমুন্ডকে আতিথ্য দেয় পিএসজি। প্রথম লেগে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকলেও ঘুরে দাঁড়ানোর আত্মবিশ্বাস ছিল স্বাগতিকদের। ওই লক্ষ্যেই একের পর এক আক্রমণে প্রতিপক্ষের রক্ষণ কাঁপিয়েছে তারা৷ কিন্তু ভাগ্য এবারো সহায় হয়নি।
অন্যদিকে পুরো গল্পটা ছিল ডর্টমুন্ডের প্রতিরোধের। একের পর এক আক্রমণ ঠেকিয়ে গেল দলটা৷ তবে কাজের কাজটাও করে নিয়েছে ফাঁকে, আরাধ্য গোলটাও আদায় করে নেয় হলুদ জার্সিধারীরা। তাতে ১১ বছর পর ফের চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে বরুশিয়া।
২০১৩ সালে সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল খেলেছিল বরুশিয়া। ওয়েম্বলিতে সেবার লিগ প্রতিপক্ষ বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরেছিল। এবার ফের আগামী ১ জুন আবার ইউরোপ সেরার মঞ্চে মাঠে নামবে ডর্টমুন্ড। এবারের ফাইনালও হবে ওয়েম্বলিতে। সেই ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদ অথবা বায়ার্ন মিউনিখের মুখোমুখি হবে ডর্টমুন্ড।
ঘরের মাঠে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে পিএসজি। বল দখলেও এগিয়ে ছিল তারাই। এগিয়ে যেতে পারতো ম্যাচের ২৫ মিনিটেই। তবে বক্সের সামনে বল পেয়েও সুবিধা করতে পারেননি এমবাপ্পে।
যদিও পরের মুহূর্তেই আক্রমণে কাঁপন ধরায় ডর্টমুন্ড। তবে করিম আদিয়েমি শট দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন পিএসজি গোলরক্ষক। গোলশুন্য থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ফের ডর্টমুন্ডের ওপর চড়াও হয় পিএসজি। সুযোগও তৈরি করে স্বাগতিকরা। কিন্তু এমেরির প্রচেষ্টা পোস্টে লেগে ফিরলে ম্যাচে ফেরা হয়নি দলটির। উলটো তিন মিনিট পরই পার্ক দ্য প্রিন্সেস স্তব্ধ করে ফিরতি লেগেও লিড পেয়ে যায় বরুশিয়া ডর্টমুন্ড।
জুলিয়ান ব্রান্ডের কর্নারে লাফিয়ে হেডে জাল খুঁজে নেন ম্যাট হামেলস। দুই লেগ মিলিয়ে তাতে জার্মান ক্লাবটি এগিয়ে যায় ২-০ ব্যবধানে। পিছিয়ে পড়ে গোলের জন্য জোর চেষ্টা চালায় পিএসজি। একের পর এক আক্রমণ করতে থাকেন এমবাপ্পে-হাকিমিরা।
তবে ৬১ মিনিটে আরেকবার পোস্ট বাঁধা হয়ে দাড়ালে হতাশা বাড়ে পিএসজি শিবিরে। বক্সের বাইরে থেকে নুনো মেন্দেসের জোরাল শট সাইড পোস্টে লেগে বাইরে চলে যায়। শেষ দিকে কিলিয়ান এমবাপ্পে ও ভিতিনিহার আরো দুটি প্রচেষ্টা পোস্টে লেগে ফিরলে হতাশার হার সাথী হয় পিএসজির।
অথচ এই ক্রসবার বাধা না হয়ে দাঁড়ালে যেভাবে আক্রমণ করছিল পর পর তাতে গোলের হালি পূরণ করে ফেলত দলটি। গোলের আক্ষেপ আরো বেড়েছে শেষ দিকে এসে৷ ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে একবার প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে একা পেয়ে ব্যর্থ হয়েছেন এমবাপ্পে।
সূত্র: নয়া দিগন্ত।