বাদী মোঃ হযরত আলী (৩৫), পিতা-মৃত আমীর আলী, সাং-হাতনাবাদ, থানা-গোদাগাড়ী, জেলা-রাজশাহী, এ/পি কম্পিউটার অপারেটর (পি.এ) চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, রাজশাহী এর কম্পিউটার টাইপকৃত অভিযোগের ভিত্তিতে, গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহপূর্বক ১৯/০৮/২০২০ খ্রিঃ বিকাল ০৫.০০ ঘটিকায় এসআই/জনাব মোঃ গোলাম মোস্তফা, এসআই/উত্তম কুমার রায়, এএসআই/মোঃ নাজমুল হক, এএসআই/রানা আহম্মেদ, এএসআই/মনিরুল ইসলাম এবং সংগীয় ফোর্স ও নারী কনস্টবল সহ বোয়ালিয়া মডেল থানাধীন বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে একজন এবং ২০/০৮/২০২০ খ্রিঃ রাত্রীতে ০৩ জন আসামীকে গ্রেফতার করে বর্ণিত মালামালগুলো উদ্ধার করে জব্দ করেন।
অত্র থানাধীন বল্লভগঞ্জ, শিরোইল ৩য় তলায় পূর্ব পাশের্^ বিজ্ঞ চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, রাজশাহী মহোদয় তার পরিবার সহ বসবাস করেন। গত ১৮/০৮/২০২০ খ্রিঃ রাত্রী অনুমান ০০.৩৫ ঘটিকায় তার পরিবারসহ ঘুমিয়ে পড়েন। সেইদিন সকাল অনুমান ০৭.২০ ঘটিকায় সময় বাইরে হাঁটতে যান এবং সকাল ০৮.০০ ঘটিকায় বাসায় এসে বিজ্ঞ আদালতে চলে যান। স্যারের বড় ছেলে স্যারকে ফোন করে জানান, তাদের বাসায় থাকা ল্যাপটপ, ঘড়ি ও মানি ব্যাগ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। স্যার বাসায় গিয়ে দেখেন মোট ৩টি ল্যাপটপ- (১) ঐচ খধঢ়ঃড়ঢ়-২৪০এ৬ মডেলের একটি ঈড়ৎব-র৫, সেভেন জেনারেশন, ছাই রংয়ের ল্যাপটপ, (২) ঐচ খধঢ়ঃড়ঢ়- ঈড়ৎব-র৫, ছাই রংয়ের একটি ল্যাপটপ, (৩) একটি কালো রংয়ের টার্চ ওহংরমহরধ খধঢ়ঃড়ঢ়, যার সর্বমোট মূল্য ১,৩৫,০০০/- (একলক্ষ পঁয়ত্রিশ হাজার) টাকা। ৪টি ঘড়ি (১) ডডঙঙজ- অংয ঈড়ষধৎ এর চেইন, (২) কবহহবঃয পড়ষব, কালো রংয়ের বেল্ট, (৩) ঋধংঃ ঞৎধপশ বাদামী রংয়ের বেল্ট, (৪) গঊএওজ বাদামী রংয়ের বেল্ট, যার সর্বমোট ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা, একটি বিদেশী অডঊও সাউন্ড বক্স, যার মূল্য অনুমান ৩,০০০/- (তিন হাজার) টাকা। দুইটি জ্যামিতি বক্স, মূল্য অনুমান ৬০০/- (ছয়শত) টাকা। মানিব্যাগ সহ মানিব্যাগে রক্ষিত ১০০০/- টাকা এবং একটি ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের এটিএম কার্ড, যার সর্বমোট মূল্য অনুমান ১,৫৯,৬০০/-(একলক্ষ ঊনষাট হাজার ছয়শত) টাকা নাই। অজ্ঞাতনামা চোর/চোরেরা উক্ত মালামালগুলো চুরি করে নিয়ে গেছে। বাদীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বোয়ালিয়া মডেল থানার মামলা নং-৪৯, তাং-১৮/০৮/২০২০ খ্রিঃ, ধারা-৪৫৭/৩৮০ পেনাল কোড রুজু করে তদন্তভার এসআই/মোঃ গোলাম মোস্তফা এর উপর অর্পন করা হয়েছে।
গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে, বোয়ালিয়া মডেল থানাধীন বাস টার্মিনাল হ’তে আসামী ১। মোঃ নুরুল @ নুরু (২৫), পিতা-মৃত হালিম, মাতা-মনোয়ারা বেগম, সাং-পঞ্চবটি শ^শানঘাট, থানা-বোয়ালিয়া, মহানগর রাজশাহীকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে সে চুরির কথা স্বীকার করেন। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২০/০৮/২০২০ খ্রিঃ রাত্রী অনুমান ০৩.৩০ ঘটিকায় অত্র থানাধীন টিকাপাড়া মকবুল হাওলাদারের মোড় হৃদয় টাওয়ারের সামনে হ’তে আসামী ২। মোঃ সাহেব আলী (৩৫), পিতা-মোঃ ইউসুফ আলী, মাতা-রাশেদা বেগম, সাং-পঞ্চবটি শ^শানঘাট ও ৩। মোঃ ইব্রাহিম (২২), পিতা-মোঃ তাইফুর রহমান, সাং-শেখেরচক মহলদারপাড়া, থানা-বোয়ালিয়া, মহানগর রাজশাহীদ্বয় এবং রাত্রী অনুমান ০৪.১৫ ঘটিকায় আসামী ৪। মোসাঃ কলি বেগম (৩৩), স্বামী-মোঃ সাহেব আলী, সাং-পঞ্চবটি শ্মশানঘাট, সর্ব থানা-বোয়ালিয়া, মহানগর রাজশাহীকে তার বাড়ী থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের নিকট হ’তে চুরি যাওয়া ০৩টি ল্যাপটপ সহ সমুদয় ১,৫৯,৬০০/- (একলক্ষ ঊনষাট হাজার ছয়শত) টাকার মালামাল সহ আরোও চোরাই মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।
মামলাটি প্রাথমিক তদন্তকালে এবং আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে আসামীগণ এক অপরের জানা-শোনার মাধ্যমে এবং পূর্ব পরিকল্পিতভাবে কৌশলে বিজ্ঞ চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মহোদয়ের বাড়ী হ’তে উপরোক্ত মালামাল চুরি করার কথা স্বীকার করেন। ১-৩নং আসামীরা তাদেরা নিজ এলাকা সহ রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে সংঘবদ্ধ চোরদের সাথে একত্রে যোগসাজসে বিভিন্ন এলাকার মোবাইল, স্বর্ণালংকার, অটোরিক্সা, অটো ইজিবাইক, মোটর সাইকেল সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র চুরি করে থাকেন।
এভাবে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তি বিশ্লেষণের মাধ্যমে মাত্র ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সম্পূর্ণ ক্লু-লেস ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন, সম্পৃক্ত সকল আসামীদের সনাক্তপূর্বক গ্রেফতার ও চোরাই সমুদয় মালামাল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।