Saturday, 01 February 2025

   09:50:28 AM

logo
logo
প্রবাসীর পাঠানো ল্যাপটপ নিয়ে উধাও; শেষ রক্ষা হলোনা রাজার

3 years ago

রাজধানীর খিলগাঁও থেকে আলাউদ্দিন মাহি নামে এক ব্যক্তি বাংলাদেশ পুলিশ অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজের ইনবক্সে মেসেজ পাঠিয়ে জানান, ওমান থেকে তার এক ভাগ্নী জামাই ওমান ফেরত অপর এক বাংলাদেশি মাসুদ পারভেজ রাজা’র মাধ্যমে একটি দামী ল্যাপটপ তার জন্য দেশে পাঠান। কথা ছিল দেশে ফেরার দিন এয়ারপোর্ট থেকে ল্যাপটপটি আলাউদ্দিন মাহি নিজেই সংগ্রহ করবেন। মাসুদ পারভেজ রাজা এয়ারপোর্টে নেমে আলাউদ্দিন মাহি বা ল্যাপটপ প্রেরনকারীর সাথে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। উক্ত রাজা ও তার ভাইয়ের মোবাইলে বার বার ফোন দিলেও তারা আলাউদ্দিন মাহিকে নানাভাবে ঘোরাতে থাকে। অস্বীকার করতে থাকে ল্যাপটপের কথা। পরবর্তীতে আলাউদ্দিন এ বিষয়টি পুলিশকে জানায়।

এক পর্যায়ে তার এক বন্ধুর পরামর্শে এ বিষয়টি মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং এর দৃষ্টিতে আনেন আলাউদ্দিন। তার বার্তা পাওয়ার পরপর এ বিষয়ে প্রাথমিক কিছু তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে মিডিয়া উইং। জানতে পারে মাসুদ পারভেজ রাজা’র গ্রামের বাড়ি কুস্টিয়া জেলার ভেড়ামারা থানার অধীন। অভিযুক্তের নাম ঠিকানাসহ বার্তাটি ওসি ভেড়ামারা মো. শাহজালাল’কে প্রেরণ করে শীঘ্রই এ বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলে মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং। এই প্রেক্ষিতে, ওসি ভেড়ামারা তাৎক্ষনিকভাবে এসআই দীপন কুমার ঘোষের নেতৃত্বে ভেড়ামারা থানা পুলিশের একটি দল অভিযুক্তের বাড়িতে প্রেরণ করেন। পুলিশকে একাধিকবার যেতে হয়েছে রাজার বাড়িতে। পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে প্রথমে তার পরিবারের সদস্যরা অস্বীকার করে মাসুদ পারভেজ রাজার দেশে ফেরার কথা। পরবর্তীতে তাদের দেয়া তথ্যের সূত্র ধরেই মাসুদ পারভেজের অবস্থান সনাক্ত করা হয়। আলাউদ্দিনের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। তার দেয়া তথ্যমতে অভিযান চালিয়ে ল্যাপটপটি উদ্ধার করা হয়েছে। ল্যাপটপটি তার যোগ্য প্রাপক আলাউদ্দিন মাহিকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। অভিযুক্ত মাসুদ পারভেজ রাজার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।

ল্যাপটপটি বুঝে পেয়ে আলাউদ্দিন মাহি লিখেছেন, “মাত্র দশ দিনের মধ্যে পুলিশ অপরাধীদের খুঁজে বের করে আমার ল্যাপটপটি উদ্ধার করে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে যা আমাদেরকে অভিভূত করেছে। আমি খুবই আনন্দের সাথে বাংলাদেশ পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং এর আন্তরিক প্রচেষ্টায় আমি এই ল্যাপটপটি ফিরে পেয়েছি। এ জন্য আমি ভেড়ামারা থানাসহ বাংলাদেশ পুলিশের সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং বাংলাদেশ পুলিশের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছি।”


Whoops, looks like something went wrong.