Saturday, 01 February 2025

   07:07:50 AM

logo
logo
স্যার, এই পুলিশের চাকরি যেনো না যায়” বললেন অভিযোগকারী

3 years ago

লক্ষীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার এক অধিবাসী ভদ্রলোক ০২ মে ২০২১ খ্রি. তারিখে বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং পরিচালিত ‘বাংলাদেশ পুলিশ অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজ’ এর ইনবক্সে বার্তা প্রেরণ করেন। তিনি তার এলাকার নিকটবর্তী একটি পুলিশ ফাঁড়ির বিষয়ে মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং এর দৃষ্টি আকর্ষন করেন। তিনি উল্লেখ করেন বেশ কিছুদিন যাবত তিনি লক্ষ্য করেছেন উক্ত ফাঁড়ির দায়িত্বে নিয়োজিত ইনচার্জ ও তার সহযোগী অপর এক কর্মকর্তা সাধারণ মানুষকে নানাভাবে হয়রানি করছেন। তিনি নিজেও একবার তাদের দ্বারা হয়রানির শিকার হয়েছেন। তার অভিযোগের সপক্ষে তিনি কোনো সুনিদিষ্ট প্রমান উপস্থাপন করতে পারেননি। তবে, তিনি দাবী করেন, নীরবে এ বিষয়টি তদন্ত করলে তার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে।

বার্তা পাঠিয়ে ভদ্রলোক তার নিরাপত্তার বিষয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেন। ভদ্রলোকের এই বার্তা পাওয়ার পর মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং তাকে তার নিরাপত্তার বিষয়ে পূর্ণ আশ্বাস দেয়। তারপর, তার বার্তাটি লক্ষীপুর জেলার পুলিশ সুপার ড. এএইচএম কামরুজ্জামান, পিপিএম-সেবা কে প্রেরণ করে এ বিষয়ে একটি গোপন তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানায়। এই প্রেক্ষিতে, পুলিশ সুপার লক্ষীপুর বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নিয়ে সাদা পোশাকে পুলিশের একটি টিমকে ওই এলাকায় নিয়োজিত করেন। সাদা পোশাকে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে তিনি অভিযোগের সত্যতা পান এবং তাৎক্ষনিকভাবে ফাঁড়ির ইনচার্জসহ অপর এক কর্মকর্তাকে ফাঁড়ির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন। তাদেরকে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। উপযুক্ত প্রমানাদি ও তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ব্যবস্থা গ্রহনের পর ভদ্রলোক মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংকে লিখেছেন,“আপনাদের এবং লক্ষীপুর জেলা পুলিশের পেশাদারিত্বে আমি অনেক সন্তুষ্ট। আপনাদের সহযোগিতার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আপনাদের মাধ্যমে আমি লক্ষীপুর জেলা পুলিশ থেকে যে সহযোগিতা পেয়েছি তার জন্য পুলিশ বাহিনীর কাছ থেকে আমার প্রত্যাশা বহুগুণ বেড়ে গেলো। তবে, স্যার, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তাদের শাস্তি যাতে চাকুরিচ্যুত হওয়ার মতো না হয়, এটা আমার বিনীত অনুরোধ থাকবে। কারন স্যার, অপরাধ উনি করেছেন, উনার পরিবার তো করে নাই। যাতে ওরা এই কাজগুলো করার আগে দ্বিতীয় বার ভাবে এটাই আমার উদ্দেশ্য ছিল।”