আরএমপি নিউজঃ করলার তিতা স্বাদ সবার পছন্দের না হলেও এর অনেক গুণ। । নিয়মিত করলা খাওয়ার অভ্যাস করলে পাওয়া যায় প্রচুর পুষ্টি উপাদান সেই সঙ্গে নানান রকমের রোগ বালাই থেকে মুক্তি। করলায় রয়েছে পালং শাকের চেয়ে দ্বিগুণ ক্যালসিয়াম এবং কলার চেয়েও দ্বিগুণ পটাশিয়াম। তাই খাদ্যতালিকায় নিয়মিত করলা রাখুন।
আসুন জেনে নেই করলার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে-
ওজন কমায়: করলা একটি লো ক্যালোরি সম্পন্ন খাবার। এছাড়া লো ফ্যাটের খাবারও করলা। ওজন কমানোয় যাদুকরী ভূমিকা পালন করে করলা।
হজমে সহায়তা করে: করলা ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। এতে করে খাবার হজম ভালো হয় এবং পেটও পরিষ্কার থাকে। সেই সাথে অ্যাসিডিটির সমস্যা কমায়।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য: করলা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য যাদুর মত কাজ করে। করলার জুস সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেক উপকারী।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: করলাতে যে ভিটামিন সি রয়েছে তা শরীর সুস্থ রাখতে অর্থাৎ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
ত্বকের যত্নে: করলায় থাকা ভিটামিন ও মিনারেল ত্বক ভালো রাখে। এছাড়া ব্রণ সারাতে ম্যাজিকের মত কাজ করে করলা।
শ্বাসরোগ দূর করে: করলার রস মধুর সাথে মিশিয়ে খেলে ফুসফুস ভালো থাকে। এই রস অ্যাজমা, ব্রংকাইটিস ও গলার প্রদাহে উপকার করে।
ক্যানসার কোষ নিয়ন্ত্রণ: করলার রস ক্যানসার কোষ ধ্বংস করে এবং নতুন কোষ তৈরি হতে দেয় না।
চোখের সমস্যা: এই সবজিতে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ, যা দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে।
বাতের ব্যাথা কমায়: করলার রস বাতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এর রস রক্ত পরিষ্কার করে ও রক্তের সঞ্চালন বাড়িয়ে বাতের ব্যাথা কমিয়ে দেয়।
শক্তিবর্ধক: করলার রস শক্তিবর্ধক হিসেবেও কাজ করে। এটি স্ট্যামিনা বাড়ানোর পাশাপাশি ভালো ঘুমে সহায়তা করে।
এছাড়া করলার পাতার রস খেলে জ্বর সেরে যায়। শরীর থেকে কৃমি দূর করতেও করলা কাজ করে।