Thursday, 28 March 2024

   08:12:00 PM

logo
logo
সাকিব-মিরাজের ঘূর্ণিতে ২৭৬ অলআউট জিম্বাবুয়ে

2 years ago

কাইতানো-টেইলরের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পর বল হাতে দাপট দেখালেন টাইগার স্পিনার মিরাজ ও সাকিব। দুই স্পিনার মিলে নিলেন ৯ উইকেট। সেই সুবাদে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৭৬ রানেই গুটিয়ে যায় স্বাগতিকদের প্রথম ইনিংস। ফলে ১৯২ রানের লিড পেয়েছে সফররত বাংলাদেশ।

মিরাজ তার ক্যারিয়ারে অষ্টমবারের মতো পেয়েছেন ফাইফারের দেখা। ৮২ রানে ৫টি উইকেট তুলে নেন এই অফস্পিনার। সাকিব সমান রান খরচায় নেন ৪টি। বাকি উইকেটটি তাসকিনের।

হারারে টেস্টে তৃতীয় দিনের তৃতীয় সেশনে মিরাজই ছিলেন বল হাতে উজ্জ্বল। ফলে জিম্বাবুয়ের বড় রান করার স্বপ্নটা পূরণ হয়নি। স্বাগতিকদের লোয়ার অর্ডার দাঁড়াতেই পারেনি মিরাজ ঘূর্ণিতে।

এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাহমুদউল্লাহ অপ্রতিরোধ্য সেঞ্চুরি এবং মুমিনুল, লিটন এবং তাসকিনদের হাফসেঞ্চুরির উপর ভর করে সবকটি উইকেট হারিয়ে নিজেদের প্রথম ইনিংসে পাহাড় সমান ৪৬৮ রান সংগ্রহ করে সফররত বাংলাদেশ দল।

দ্বিতীয় দিনের ১ উইকেটে ১১৪ রান নিয়ে তৃতীয় দিনে ব্যাট করতে নামে স্বাগতিকরা। ওপেনার কাইতানোর সঙ্গে দারুণ এক জুটি গড়েন জিম্বাবুইয়ান ক্যাপ্টেন ব্রেন্ডন টেলর। দু’জনে মিলে গড়েন ১১৫ রানের জুটি। ৩য় দিনের প্রথম সাফল্য এনে দেন স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ। ভয়ংকর হয়ে ওঠা ব্রেন্ডন টেইলরকে ফেরান তিনি।

দিনের শুরু থেকেই তাসকিন-এবাদত-সাকিবদের দিয়ে আক্রমণ চালান টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল। তবে সাফল্যের দেখা পাচ্ছিলেন না। অবশেষে ব্রেক থ্রু এনে দেন মিরাজ। ক্রমেই সেঞ্চুরির দিকে আগানো টেলরকে তিনি ফেরান বদলি ফিল্ডার ইয়াসির রাব্বির ক্যাচ বানিয়ে। ৮১ রান করে আউট হন টেইলর।

অন্যপ্রান্তে নিজের অভিষেক ম্যাচেই সেঞ্চুরি তুলে নেন ওপেনার কাইতানো। ৪ নম্বরে নামা মেয়ার্সের সঙ্গে গড়েন ৪৯ রানের জুটি। ২৭ রান করা মেয়ার্সকে সাজঘরে পাঠান সাকিব। এরপর মারুমাকেও এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে, রানের খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান সাকিব।

এর আগে উদ্বোধনী দিনের শুরুতে মাত্র ৮ রানে দুই উইকেট হারানো এবং ৬৮ রানে তৃতীয় উইকেট হারানোর পর সফরকারী বাংলাদেশ হাল ধরেন লিটন দাস ও অধিনায়ক মুমিনুল হক। পরে সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম সাজঘরে ফিরেছেন মাত্র ৫ বলের ব্যবধানে। এতে ১০৯ রানে ৫ উইকেটে হারিয়ে সংকটের মধ্যে পড়ে গিয়েছিল টাইাররা। 

জিম্বাবুয়ের একক আধিপত্যে খর্ব করে স্বাগতিকদের প্রথম ধাক্কাটি দেন অধিনায়ক মুমিনুল। ৯২ বলে ৭০ রান সংগ্রহ করেন তিনি। পরে ১৪৭ বলে ৯৫ রান করে টাইগার দলকে আরেক দফা এগিয়ে দেন লিটন দাস। ১৭টি চার ও একটি ছক্কায় টেস্ট ক্যারিয়ার সেরা ১৫০ রান করে অপরাজিত থাকেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দলের হয়ে ৭৫ রান করেন তাসকিন।