অদ্য ১৭/০৯/২০১৯ইং তারিখ রোজ মঙ্গলবার বেলা ১৬.০০ টায় রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তরের কনফারেন্স রুমে আসন্ন শারদীয় দূর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে আইন শৃংখলা সংক্রান্ত এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাটি বেলা ১৬.০০ টায় শুরু হয়ে বেলা ১৮.০০ টায় শেষ হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন আরএমপি’র পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ হুমায়ুন কবির, বিপিএম, পিপিএম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আরএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার(প্রশাসন) জনাব মোঃ সুজায়েত ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার(ক্রাইম এন্ড অপারেশন) জনাব সালমা বেগম, পিপিএম-সেবা, উপ-পুলিশ কশিনার(সদর) মোঃ রশীদুল হাসান পিপিএম, উপ-পুলিশ কমিশনার(বোয়ালিয়া) জনাব মোঃ সাজিদ হোসেন, উপ-পুলিশ কমিশনার(মতিহার) জনাব মোঃ জয়নুল আবেদীন, উপ-পুলিশ কমিশনার(শাহমখদুম) মোহাম্মদ হেমায়েতুল ইসলাম, উপ-পুলিশ কমিশনার(কাশিয়াডাঙ্গা) জনাব মোঃ হাতেম আলী, উপ-পুলিশ কমিশনার(গোয়েন্দা শাখা) আবু আহাম্মদ আল মামুন, উপ-পুলিশ কমিশনার(ট্রাফিক) অনির্বান চাকমা, উর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারবৃন্দ সহ সকল থানার অফিসার ইনচার্জ এবং পূজা উদযাপন পরিষদ রাজশাহী মহানগরী শাখার সভাপতি অলোক কুমার দাস, সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ শরৎ চন্দ্র সরকার, সভাপতি, শ্রী সমর কুমার সাহা, পূজা উদযাপন পরিষদ, পবা উপজেলা, শ্রী কানাই কুমার সাহা, সাধারণ সম্পাদক, পূজা উদযাপন পরিষদ, পবা উপজেলা ও হিন্দু সমপ্রদায়ের নেতৃত্ববৃন্দ। এবার রাজশাহী মহানগরী এলাকায় পূজামন্ডপের সংখ্যা ৯৯ টি। মতবিনিময় সভায় আসন্ন দূর্গাপূজায় রাজশাহী মহানগরী এলাকার আইন শৃংখলা পরিস্থিতি যেন স্বাভাবিক থাকে ও প্রতিমা প্রস্তুত করণ, প্রতিমা প্রস্তুত কালীন এবং পূজা চলাকালীন নিরাপত্তার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সভায় উপস্থিত হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ আইন শৃংখলা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করেন। পুলিশ কমিশনার তাঁর বক্তব্যে বলেন দূর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে আরএমপি’র পক্ষ থেকে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে এবং ইতোমধ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। তিনি গুরুত্বপূর্ণ পূজামন্ডপগুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের জন্য নেতৃবৃন্দকে আহবান জানান। পূজামন্ডপগুলোতে পুরুষ ও নারীদের জন্য পৃথক প্রবেশ ও নির্গমণ লাইন রাখার এবং পূজা মন্ডপে পুরুষ ও মহিলা আলাদা আলাদা স্বেচ্ছাসেবক রাখার বিশেষভাবে গুরুত্ব আরোপ করেন। পূজা মন্ডপের প্রবেশ গেইটে মেটাল ডিটেক্টর রাখার জন্যও পূজা কমিটিকে পরামর্শ প্রদান করেন। থানার অফিসার ইনচার্জগণকে পূজা কমিটির সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখার নির্দেশ প্রদান করেন এবং ট্রাফিক বিভাগকে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা জোরদার করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। যাতে করে দর্শনার্থীরা নির্বিঘে পূজামন্ডপ দর্শণ করতে পারে। প্রতিটি পূজামন্ডপ কমিটিকে সকল ধর্মের সমন্বয়ে সাম্পাদায়িক সম্প্রীতি কমিটি গঠনের আহবান জানান।
