Saturday, 07 September 2024

   01:20:31 PM

logo
logo
ভূমিহীনদের জন্য কবরস্থান গড়ে দিলেন আইজিপি

2 years ago

আবদুর রহমানদের আজ খুশীর সীমা নেই। তারা উপকূলীয় অধিবাসী। মেঘনা নদীর ভাঙ্গনে নিজেদের সহায়-সম্বল হারিয়ে ভাগ্যাহত এ মানুষেরা এখন ভূমিহীন। শুধু তাই নয়, মৃত্যুর পর আপনজনকে দাফন করার জন্যও ছিল না তাদের এক টুকরো জমি। অনুষ্ঠানে বেদনার্থ কন্ঠে আবদুর রহমান বলেন, আপনজনকে শেষবারের মতো শায়িত করতে ঘন্টার পর ঘন্টা লাশ নিয়ে বসে থাকতে হতো। আজ আমাদের অপেক্ষার প্রহর কাটলো। আমরা আইজিপি স্যারের বদান্যতায় একটি স্থায়ী কবরস্থান পেলাম।

প্রায় দুই হাজার ভূমিহীন মানুষের জন্য কবরস্থান গড়ে দেয়ার মূল স্থপতি ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) এবং তাঁর স্ত্রী পুনাক সভানেত্রী জীশান মীর্জা।

আইজিপি এবং পুনাক সভানেত্রী আজ বিকালে লক্ষ্মীপুর জেলার ভবানীগঞ্জ সদর উপজেলার পূর্ব চরমনসা গ্রামে এ কবরস্থানের ফলক উন্মোচন করেন। পরে আইজিপি স্থানীয়দের সাথে মতবিনিময় করেন।

আইজিপি এ সময় বলেন, লক্ষ্মীপুরের এ এলাকায় বিভিন্ন স্থানে বসবাসরত ভূমিহীনদের জন্য কোন কবরস্থান নেই সংক্রান্ত রিপোর্ট একটি নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত হয়। রিপোর্টটি দেখে আমার স্ত্রী এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানান। মূলত তাঁরই প্রেরণায় আমরা নিজস্ব উদ্যোগে জমি কিনে এখানে কবরস্থান এবং একটি মসজিদ স্থাপন করেছি।

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ অনেক উন্নত হয়েছে। এখন মৃত্যুর পর করো দাফন-কাফন অথবা সৎকার হবে না, তা ভাবা যায় না। তিনি বলেন, এ কবরস্থানের উপকারভোগী শুধু ভূমিহীনরা নয়, এ গ্রামের সাধারণ মানুষও হবেন।

আইজিপি কবরস্থানটিকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে বিবেচনা করে তাঁর জন্য সবার কাছে দোয়া চান।

আইজিপি সোশ্যাল মিডিয়ার ইতিবাচক দিক তুলে ধরে বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় এ ধরনের বেশী বেশী সিটিজেন রিপোর্টিং হলে সমাজ ও দেশ উপকৃত হবে।

আইজিপি এবং পুনাক সভানেত্রী ভূমিহীন আবদুর রহমানের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে জমির দলিল হস্তান্তর করেন। তাঁরা উভয়ে কবরস্থানে একটি করে গাছের চারা রোপন করেন।

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ আনোয়ার হোসাইন এবং লক্ষ্মীপুর জেলার পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান বক্তব্য রাখেন।

প্রায় সাড়ে ঊনত্রিশ শতক আয়তনের এ কবরস্থানে প্রায় চারশ' জন মানুষকে দাফনের স্থান সংকুলান হবে।

পরে তিনি জেলা পুলিশ লাইন্সের ড্রিল শেডে রেঞ্জ এবং জেলার পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের সাথে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় মিলিত হন।

পরে তিনি দাশের হাট পুলিশ ফাঁড়ি এবং নারী ব্যারাক উদ্বোধন করেন।