Tuesday, 16 July 2024

   11:49:39 PM

logo
logo
নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে : বিদেশি পর্যবেক্ষকরা

6 months ago

আজ সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বিদেশি পর্যবেক্ষকরা।

আমরা কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার কথা শুনেছি। সরকারি প্রার্থী, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য দলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের মতো, যা অপ্রত্যাশিত। কিন্তু সার্বিক নির্বাচনী পরিস্থিতি পর্যালোচনা করলে সেসব ঘটনা খুবই নগণ্য। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সকল পর্যবেক্ষক একমত যে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ সময় তারা বলেন, 'আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ সাতটি দেশের উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক বিশ্লেষক, প্রাক্তন কংগ্রেসম্যান এবং সাংবাদিকদের একটি দল নির্বাচন পর্যবেক্ষণে এসেছি। আমরা বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছি। গতকাল আমরা ৩টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ঢাকা ও আশেপাশের এলাকায় মোট ২০টি ভোট কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করেছি।

বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আরো বলেন, 'আমরা যে সব কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করেছি সেখানে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে আমরা দেখতে পেয়েছি, ভোট দেওয়ার পথে তাদের কোনো বাধার সম্মুখীন হতে হয়নি। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী বা দল দ্বারা ভোটারদের কোনো ভয়ভীতি দেখা যায়নি। এটা গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের জন্য ভালো ইঙ্গিত দেয়।'

অনুষ্ঠানে হোয়াইট হাউস ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের চিফ অফ স্টাফ এবং আমেরিকান গ্লোবাল স্ট্র্যাটেজিসের প্রধান নির্বাহী আলেকজান্ডার বার্টন গ্রে বলেন, 'নাগরিক হিসেবে গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রতিটি দেশের সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করবে এটাই প্রত্যাশিত।

ভোটাধিকার প্রয়োগ করা একটি নাগরিক অধিকার। জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকারকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। একজন নাগরিকের নিরাপদ ভোটাধিকার প্রয়োগের নিশ্চয়তা দেওয়া সরকারের বিবেচনার উপর নির্ভর করে।'

তিনি আরো বলেন, 'আমরা দেখেছি বাংলাদেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকারের ব্যাপারে খুবই আন্তরিক যা বিশ্বের অন্য দেশে খুব কমই পাওয়া যায়। বিশ্বের অনেক দেশ আছে যারা ভোট না দেওয়ার জন্য জরিমানা আরোপ করে এবং অনেক দেশ ভোটকে উৎসাহিত করার জন্য অতিরিক্ত নাগরিকত্ব সুবিধা দেয়।

কিন্তু বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের ভোট দেওয়ার আগ্রহ ও উৎসাহ রয়েছে যা আমরা খুবই উৎসাহব্যঞ্জক বলে মনে করি। কিছু রাজনৈতিক দল থেকে বিরত থাকা প্রচারণা এবং একটি বড় রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ না করা নির্বাচনের উৎসবমুখর পরিবেশে কিছুটা প্রভাব ফেলেছে বলে মনে হয়। সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিলে পরিবেশ আরও সুন্দর ও আনন্দময় হতো।'

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রাক্তন মার্কিন কংগ্রেসম্যান এবং সান দিয়াগো সিটির কাউন্সিলম্যান মিঃ জিম বেটস, নিউ সাউথ ওয়েলস লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের সাবেকসংসদ সদস্য শাওকেট মুসেলমানে, ওএসছিই এর সার্টিফাইড নির্বাচন পর্যবেক্ষক টেরি এল. ইজলি ও ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ ইকোনমিক ফোরামের কমিউনিকেশন ডিরেক্টর  ক্রিস্টোফার জনসহ প্রমুখ।

 

সূত্র: কালের কন্ঠ