আরএমপি নিউজ : রাজশাহী মহানগরী'র শাহমখদুম থানা পুলিশের সহযোগিতায় ঈশ্বরদী রেল স্টেশন থেকে নিখোঁজ শিশু উদ্ধার হয়। ঐ শিশু গত ১৩ মে ২০২৪ শাহমখদুম থানার ওমরপুর এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়।
উদ্ধারকৃত শিশু মো: রিসালাত রায়নান (১০) রাজশাহী মহানগরীর শাহমখদুম থানার সন্তোষপুরের মো: রাশেদুল ইসলামের ছেলে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, শিশু রিসালাত রাজশাহী মহানগরীর শাহমখদুম থানার সন্তোষপুরের একটি ক্যাডেট মাদ্রাসায় পড়ালেখা করত। সে প্রতিদিন ভোর ৬ টায় মাদ্রাসায় যেত। আর রাতে তার বাবা তাকে মাদ্রাসা থেকে নিয়ে আসত। গত ১৩ মে ২০২৪ সে তার প্রতিদিনের মত ভোর ৬ টায় বাড়ি থেকে বের হয়ে মাদ্রাসায় যায়। রাতে তার বাবা তাকে মাদ্রাসা থেকে আনতে গিয়ে দেখে সে মাদ্রাসায় নাই। শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানাতে পারেন সেদিন সে মাদ্রাসায় আসলেও ক্লাস না করে চলে যায়। তখন তার বাবা আশপাশ এলাকাসহ আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করেন। তাকে কোথাও না পেয়ে শাহমখদুম থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করেন।
আরএমপি'র শাহমখদুম বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো: নুর আলম সিদ্দিকী নিখোঁজ শিশুকে দ্রুত উদ্ধারের নির্দেশ প্রদান করেন।
শাহমখদুম থানার অফিসার ইনচার্জ মো: ইসমাইল হোসেনের দিকনির্দেশনায় শাহমখদুম থানা পুলিশ শিশু রিসালাতকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করেন। শাহমখদুম থানা পুলিশ আরএমপিসহ শহরের বিভিন্ন স্থানের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনায় করে বুঝতে পারে ঐ শিশু আমচত্বর থেকে পায়ে হেঁটে রাজশাহী রেলস্টেশনের দিকে গেছে। থানা পুলিশ ঐ শিশুর বাবার সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন তার নানার বাড়ি নাটোর জেলার আব্দুলপুরে। পুলিশ তার নানার বাড়িতে খোঁজ করতে বলে। শিশু রিসালাতের বাবা তার নানার বাড়ি খোঁজ নিয়ে জানতে সে ওখানে যায়নি। তখন পুলিশ তার বাবাকে আব্দুলপুর রেল স্টেশনসহ তার আগের ও পরের রেল স্টেশনে খোঁজ নিতে বলেন। পুলিশের নির্দেশনা পেয়ে তার মামা গত ১৪ মে ২০২৪ রাত ৮ টায় ঈশ্বরদী রেল স্টেশনে খোঁজ নিয়ে শিশু রিসালাতকে উদ্ধার করে।
রিসালাতকে ফিরে পেয়ে তার বাবা অত্যন্ত আনন্দিত। পুলিশের আন্তরিক প্রচেষ্টায় ছেলেকে ফিরে পেয়ে তারা আরএমপি’র শাহমখদুম থানা পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
শিশু রিসালাতের বাবা জানায়, তার ছেলে পরিবারের কাউকে কিছু না বলে তার নানার বাড়ি আব্দুলপুর যাওয়ার জন্য ক্লাস না করে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেনে ওঠে। কিন্তু ভুল করে আব্দুলপুরে না নেমে ঈশরদী রেলওয়ে স্টেশনে চলে যায়।