আরএমপি নিউজ : রাজশাহী মহানগরীর শাহমখদুম থানার দক্ষিণ নওদাপাড়া এলাকা থেকে যৌন হয়রানি ও অর্থ আদায়ের অভিযোগে ছয় জনকে গ্রেপ্তার করেছে শাহমখদুম থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন মো: শরিফুল ইসলাম (২১), মো: রাকিব হাসান (২৬), মো: মিনারুল ইসলাম (১৮), মো: শামিউল ইসলাম (১৮), মো: হৃদয় ইসলাম (২১) ও মো: খাইরুল ইসলাম (২২)। তারা সকলেই শাহমখদুম থানা এলাকার বাসিন্দা।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, মো: শরিফুল ইসলাম মহানগরীর শাহমখদুম থানার নওদাপাড়া আমচত্বরের ইসলামী ব্যাংক নার্সিং কলেজের ৩য় বর্ষের ছাত্র। গতকাল ৯ জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ শরিফুল ও তার বান্ধবী রাজপাড়া থানার লক্ষীপুর এলাকার ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে কাজ শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় রিক্সাযোগে আমচত্তরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। তারা শাহমখদুম থানার দক্ষিণ নওদাপাড়া নেসকো বিদ্যুৎ অফিসের সামনে রিক্সা থেকে নেমে হাঁটতে থাকে। তারা দক্ষিণ নওদাপাড়া সিটি লেক পাড়ের কলাবাগানের সামনে পৌঁছালে বিদ্যুৎ চলে যায়।
এসময় লেকের পাড়ে বসে থাকা আসামিরা শরিফুল ও তার বান্ধবীর পথরোধ করে বিভিন্ন অশ্লীল কথা বলতে থাকে। এছাড়াও তারা জোর করে শরিফুলের মানিব্যাগ থেকে ৭০০ টাকা বের করে নেয় এবং তাকে বিকাশ মাধ্যমে আরও ৫ হাজার টাকা দিতে বলে। আসামিরা শরিফুলের বান্ধবীর কাছ থেকেও টাকা দাবি করে এবং তার মাক্স টেনে হেঁচড়ে খুলে ফেলে। এরপর আসামিরা শরিফুলের বান্ধবীর কাধে থাকা ভ্যানেটি ব্যাগ কেড়ে নেয়। কিন্তু ব্যাগে টাকা না থাকায় ব্যাগটি পাশে ফেলে দেয়। আসামিরা শরিফুলের বান্ধবীর হাত ধরে টানা হেঁচড়া করে এবং শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দিয়ে যৌন হয়রানির চেষ্টা করে। শরিফুল ও তার বন্ধবী আসামিদের কাছ থেকে ছাড়া পেতে চিৎকার করে। চিৎকার শুনে সিটি হাট মোড়ে ডিউটিরত শাহমখদুম থানার টহল পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করে । পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দুই জন আসামি কৌশলে পালিয়ে যায়। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত ও পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে শাহমখদুম থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করে গ্রেপ্তারকৃতদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।