সুনীল অর্থনীতির সর্বোচ্চ সুযোগ নিতে ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সাইক্লোন সৃষ্ট ঝুঁকি মোকাবেলার লক্ষ্যে সমুদ্রে মাছ আহরণের ট্রলার-দেশের প্রথম স্মার্ট বোট বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই স্মার্ট বোটের মাধ্যমে সমুদ্রে মাছ ধরার সর্বোচ্চ সুযোগ সৃষ্টি সম্ভব বলে সংশ্লিষ্টরা মত প্রকাশ করেছেন।
স্বাস্থ্যবিধি ও কোভিড-১৯ প্রটোকল মেনে সোমবার বরগুনা ফেরিঘাটে লাল সবুজের মিশেলে স্মার্ট বোটের উদ্বোধন করেছেন জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ। খবর বাসস।
জেলা মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি মোস্তফা চৌধুরী জানিয়েছেন, মৎসজীবীদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা অনুযায়ী স্মার্ট বোটে মোট ১০ ধরণের পর্যাপ্ত সংখ্যক নিত্যপ্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি প্রদান করা হয়েছে। যেমন-লাইফ জ্যাকেট, বয়া, পানি নিরাধক ডুয়েল ব্যান্ড রেডিও, হেভি ডিউটির টর্চ লাইট (রাতের উদ্ধারের জন্য), ছাটে আয়না (দিনের উদ্ধারের জন্য), হেভি ডিউটির স্ট্রব লাইট (পজিশন সিগন্যালের জন্য), ফার্স্ট এইড কিট, সমুদ্রের লবণাক্ত পানিকে ব্যবহার উপযাগেী করার জন্য পর্টেবল মিনি ওয়াটার ফিল্টার, কম্পাস এবং সোলার প্যানেল।
জেলা প্রশাসন মিডিয়া সেল সূত্র জানিয়েছে, মৎসজীবী জনগাষ্ঠেীর বিশেষ দাবিগুলােকে বিবেচনায় রেখে স্থানীয় সরকার বিভাগের লজিক প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিকভাবে বরগুনা জেলার ৩টি উপজেলার ১২ টি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রায় ১০০টি স্মার্ট বোটের স্কিম গ্রহণ করা হয়। এরপর থেকে পরবর্তীতে বাকি স্মার্ট বোটে এই মডেলকে অনুসরণ করে বাস্তায়ন করা হবে।
জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ জানান, মৎস্যজীবিদের মাছ ধরার ট্রলারকে জলবায়ু পরিবর্তনে অভিযোজিত করার লক্ষ্যে কিছু সংখ্যক প্রাথমিক নিরাপত্তা সরঞ্জামাদির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর ফলে মৎসজীবীরা গভীর সমুদ্রে হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পাবে এবং তারা দুর্যোগের পূর্বেই নিরাপদে ফিরে আসতে পারবে।
বরগুনার মতো উপকূলীয় ১৯টি জেলার মৎসজীবীদের কাছে স্মার্ট বোট স্কিম, জেলা প্রশাসন এবং লজিক প্রকল্পের লাল সবুজের মিশেলে এই স্মার্ট বোট প্রদানের মাধ্যমে সুনীল অর্থনীতির সর্বোচ্চ সুযোগ নেয়া সম্ভব বলে সংশ্লিষ্টরা মত প্রকাশ করেছেন।