আরএমপি নিউজ: “মন্ত্রণালয়ের সকল বাঁধ প্রকল্পে বৃক্ষরোপন চলমান থাকবে। ঘূর্ণিঝড় “আম্ফানে সাতক্ষীরায় আমরা দেখেছি যেসব এলাকায় বনায়ন ছিলো সেখানে নদীতীর ভাঙ্গন কম হয়েছে, ক্ষয়ক্ষতিও কম হয়েছে। তাছাড়া আম্ফানে সুন্দরবন বাংলাদেশে প্রতিরক্ষা হয়ে কাজ করেছে।”
রবিবার (২৭ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার গ্রীণরোডস্থ পানি ভবনে মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়িত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির বিশেষ সম্মাননা স্মারক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক,এমপি এসব কথা বলেন।
বৃক্ষরোপনের গুরুত্ব নিয়ে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে জলোচ্ছ্বাস,ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।এটা থেকে রক্ষায় বৃক্ষরোপনের বিকল্প নেই। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় মনে করে, নদীভাঙ্গন থেকে মানুষকে বাঁচাতে বৃক্ষরোপন করতেই হবে। “
উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই মুজিববর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী “জাতীয় বৃক্ষরোপন কর্মসূচি- ২০২০” -উদ্বোধনের মাধ্যমে সারাদেশে ১ কোটি বৃক্ষরোপন কর্মসূচি গ্রহণ করেন। এর ধারাবাহিকতায় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় দশ লক্ষ বৃক্ষরোপন কর্মসূচি গ্রহণ করে। গত এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত মোট ১০ লক্ষ ৮৪ হাজার ৬১০ টি গাছ রোপিত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সর্বোচ্চ বৃক্ষরোপনের তালিকায় সারাদেশে প্রথম,দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে যথাক্রমে বরিশাল জোন, খুলনা জোন এবং চট্টগ্রাম জোন। পওর বিভাগীয় তালিকায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে যথাক্রমে বরগুনা পওর বিভাগ, বাগেরহাট পওর বিভাগ এবং খুলনা পওর বিভাগ-২।
এর আগে অনুষ্ঠানের সভাপতি সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও বোর্ডের সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। বক্তব্য শেষে বিজয়ীদের মাঝে সম্মাননা স্মারক তুলে দেয়া হয়।
এসময় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রোকন উদ দৌলা, অতিরিক্ত সচিব মন্টু কুমার বিশ্বাস,পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক এ এম আমিনুল হক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো: হাবীবুর রহমানসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।