ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকা ‘কভিশিল্ড’ চুক্তি অনুযায়ী যথাসময়ে বাংলাদেশ পাবে বলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে আশ্বাস দিয়েছেন।
শুক্রবার রাজধানীর সোনারগাঁ হোটেলে এক বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী এ আশ্বাস দেন। বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়েও আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের জানান, চুক্তি অনুযায়ী যথাসময়ে ভারত থেকে কেনা তিন কোটি টিকা পাবে বাংলাদেশ। রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ভারতকে ভূমিকা নেওয়ার জন্য নরেন্দ্র মোদিকে আহ্বান জানিয়েছেন বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, খুব আন্তরিকতার সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। আগামী ৫০ বছর আমরা একসঙ্গে আরও এগিয়ে যেতে চাই। এক দেশ হঠাৎ উন্নতি হলে লাভ নেই, এই অঞ্চলের সবাইকে নিয়েই উন্নতি করতে হবে। আমরা চাই কানেক্টিভিটি বাড়ুক। করোনাকালে আমরা তাদের ভ্যাকসিন সহযোগিতা পেয়েছি। তারা ভ্যাকসিন দিয়েছেন। আমরা আশা করছি তিন কোটি ভ্যাকসিন যথাসময়ে আসবে।
ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ভারত নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হয়েছে। আমাদের আশা—রোহিঙ্গা ইস্যুতে তারা ভালো ভূমিকা রাখবে, এ বিষয়ে উদ্যোগ নেবে।
এর আগে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে পৌঁছান।
উপহারের ১২ লাখ টিকা এসেছে
ভারত সরকারের উপহার হিসেবে ১২ লাখ করোনার টিকা বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে। দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে উপহার হিসেবে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই করোনার টিকা ‘কভিশিল্ড’ উপহার দিল ভারত। এর আগে ২১ জানুয়ারি উপহার হিসেবে আরো ২০ লাখ টিকা দিয়েছিল ভারত।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা রফতানি সাময়িকভাবে বন্ধ করেছে ভারত। তাদের অভ্যন্তরীণ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সামনের সপ্তাহগুলোতে বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাই ভ্যাকসিনের ডোজগুলো ভারতেরই লাগবে। ভারতের এ সিদ্ধান্ত এপ্রিলের শেষ নাগাদ বহাল থাকতে পারে।