Thursday, 14 November 2024

   09:18:41 PM

logo
logo
করোনাভাইরাস প্রতিরোধের উপায়

3 years ago

আরএমপি নিউজঃ চীন থেকে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত অনেক লোক মারা গেছে। চীনের বাইরে অন্যান্য দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে অনেক মানুষ। সংক্রমণ এড়াতে অনেকেই মাস্ক পরে চলাচল করছেন। করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সম্পর্কে এখনো বিজ্ঞানীরা সব জানেন না। সময়ের সঙ্গে এটি দুর্বল হয়ে পড়বে নাকি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে,  হার্ড ইমিউনিটি আসলেই সম্ভব কি না ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তর এখনো ধোঁয়াশায়।

বাংলাদেশে সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ায় আশঙ্কা করা হচ্ছে যে,  করোনাভাইরাস  সংক্রমণের  দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গেছে।  আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, এতে হয়তো আরও অনেকেই আক্রান্ত হতে পারেন। এত দ্রুত গতিতে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার কারণে একে ঘিরে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে এ ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা।

করোনাভাইরাস যেভাবে ছড়ায়?

  • মূলত বাতাসের Air Droplet এর মাধ্যমে।
  • হাঁচি ও কাশির ফলে।
  • আক্রান্ত ব্যক্তিকে স্পর্শ করলে।
  • ভাইরাস আছে এমন কোন কিছু স্পর্শ করে হাত না ধুয়ে মুখে নাকে বা চোখে লাগালে।
  • পয়নিস্কাশন ব্যবস্থার মাধ্যমেও ছড়াতে পারে।

 কীভাবে জানবেন আপনি আক্রান্ত হয়েছেন

নতুন এই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে প্রথমে জ্বর আসে, তার পর দেখা দেয় শুষ্ক কাশি এবং সপ্তাহখানেক পর শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। এছাড়াও  সর্দি, কাশি, জ্বর, মাথাব্যথা, গলাব্যথাসহ মারাত্মক পর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া। শিশু, বৃদ্ধ ও কম রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের দেখা দেয় নিউমোনিয়া ও ব্রঙ্কাইটিস। তবে এসব উপসর্গ দেখা দিলেই নিশ্চিত করে বলা যাবে না যে আপনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

কীভাবে পরীক্ষা করা হবে?

আপনি যদি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে থাকেন, তবে অবশ্যই আপনার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে। তখন আপনার কাছ থেকে কিছু নমুনা সংগ্রহ করা হতে পারে: নাক, গলা ও ফুসফুস থেকে নির্গত শ্লেষ্মা, রক্ত ও মল বা বিষ্ঠা। এর পর এসব নমুনা পাঠানো হবে পরীক্ষাগারে। পরীক্ষার ফল না পাওয়া পর্যন্ত বাড়িতে বিচ্ছিন্ন করে অবস্থান করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

প্রতিরোধে করনীয়ঃ

 করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ব্যক্তিগত সচেতনতা হচ্ছে একমাত্র পথ।

  • মাঝে মাঝে সাবান-পানি বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়া।
  • . সিঁড়ির রেলিং, দরজার নব, পানির কল, কম্পিউটারের মাউস বা ফোন, গাড়ি বা রিকশার হাতল ইত্যাদি ধরলে সঙ্গে সঙ্গে হাত পরিষ্কার করতে হবে।
  • হাত না ধুয়ে মুখ,চোখ ও নাক স্পর্শ না করা।
  • নিজেকে নিরাপদ রাখতে সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত যে কোনো ব্যক্তি থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকুন।
  • হাঁচি-কাশির মাধ্যমে যেহেতু রোগটি ছড়ায় বিধায় হাঁচি কাশি দেওয়ার সময় মুখ ডেকে রাখা।
  • ঠান্ডা বা ফ্লু আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে না মেশা।
  • বন্য জন্তু কিংবা গৃহপালিত পশুকে খালি হাতে স্পর্শ না করা।
  • মাংশ ডিম খুব ভালোভাবে রান্না করা।
  • মুখে মাস্ক ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • প্রচুর ফলের রস ও পানি পান করা।
  • হাঁচি কাশি দেওয়ার পর, রোগীর শুশ্রুষা করার পর, টয়লেট করার পর, পশুপাখি কিংবা পশুপাখির মল স্পর্শ করার পর এবং খাবার খাওয়া ও খাবার প্রস্তুত করার আগে ও পর পরিস্কার করে হাত ধুতে হবে।
 print