আরএমপি নিউজঃ জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা বলেন, শান্তিরক্ষা মিশনসমূহের উপর অর্পিত বহুমুখী দায়িত্ব যথাযথভাবে পরিপালনের জন্য পর্যাপ্ত ও টেকসই শান্তিরক্ষা বাজেট প্রয়োজন।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘ সদরদপ্তরে অনুষ্ঠিত শান্তিরক্ষা মিশনসমূহের বাজেট সেশনে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের জন্য পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দের উপর জোর দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, শান্তিরক্ষা মিশনসমূহের উপর অর্পিত বহুমূখী দায়িত্ব বাস্তবায়নে মিশনসমূহ যথোপযুক্ত বাজেট পেল কিনা তাও নিশ্চিত করা জরুরি। শান্তিরক্ষা মিশনে সৈন্য ও পুলিশ প্রেরণকারী দেশগুলো যাতে তাদের শান্তিরক্ষী ও সাজ-সরঞ্জাম মোতায়েনের অর্থ যথাসময়ে পায় তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।
বাংলাদেশ বর্তমানে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে শীর্ষ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ। বিশ্বের ৭টি মিশনে বাংলাদেশের প্রায় ৭হাজার শান্তিরক্ষী কর্মরত রয়েছে।
কোভিড-১৯ অতিমারির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে শান্তিরক্ষীগণ বিশ্বের সংঘাত প্রবণ অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বজায় রাখার ক্ষেত্রে অব্যাহত ও নিবেদিতভাবে যে প্রচেষ্টাসমূহ চালিয়ে যাচ্ছেন তার ভূয়সী প্রশংসা করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। তাই এ বাজেট বরাদ্দকালে যাতে কোভিড-১৯ অতিমারির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় বাড়তি অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয় সেবিষয়ে সদস্য রাষ্ট্রসমূহের প্রতি আহবান জানান তিনি।
রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, শান্তিরক্ষায় নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধির বিষয়টি বাংলাদেশের ‘নারী, শান্তি ও সুরক্ষা’ বিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনার মূল কৌশলের একটি। শান্তিরক্ষা কার্যক্রম বিশেষ করে এর উচ্চ পর্যায়ে নারীর অংশগ্রহণ কম থাকার বিষয়টিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।
তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের সকল স্তরে নারীর পূর্ণ, কার্যকর এবং অর্থবহ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে অবশ্যই আমাদেরকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।’
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের বাজেট বরাদ্দের বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ পরিষদের পঞ্চম কমিটির সভা প্রতিবছর মে মাসে অনুষ্ঠিত হয়। সূত্রঃ বাসস