তথ্য-প্রযুক্তির কল্যাণে এখন হাতে হাতে স্মার্টফোন। আর স্মার্টফোন ব্যবহারের অধিকাংশ সুযোগ-সুবিধাই আমরা পেয়ে থাকি নানা ধরণের অ্যাপ ব্যবহার করে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় কিছু ভুয়া অ্যাপ ডাউনলোড করে ফেলি। আর এটি হয়ে থাকে আমরা আসল অ্যাপ সঠিকভাবে চিনতে না পারার কারণে। তবে এসব ভুয়া অ্যাপ ডাউনলোডের পরিণতিও হয় ভয়াবহ।
আপনি যদি আপনার স্মার্টফোনটিতে ভুয়া অ্যাপ ডাউনলোড করেন তাহলে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য বেহাত হতে পারে যা আপনার জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
তাই সবসময় শুধুমাত্র জেনুইন অ্যাপই ডাউনলোড করতে হবে। তবে এ কাজটি সহজ নয়। কারণ অনলাইনে প্রায় সবখানেই ছড়িয়ে রয়েছে ভুয়া অ্যাপ। তাই সর্বপ্রথম আপনাকে জানতে হবে কিভাবে ভুয়া অ্যাপ চিহ্নিত করবেন এবং তা ডাউনলোড করা থেকে বিরত থাকবেন।
১.সর্বদা অফিসিয়াল অ্যাপ স্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করুনঃ
সর্বদা শুধুমাত্র অফিসিয়াল অ্যাপ স্টোর থেকেই অ্যাপগুলো ডাউনলোড করুন। হয়ত অনেক সময় আপনি অন্যান্য জায়গা থেকেও অ্যাপ ডাউনলোড করার সুযোগ পাবেন। কিন্তু যতটা সম্ভব অ্যাপ ডাউনলোডের ওই উৎসগুলোকে এড়িয়ে চলুন। যদিও অফিসিয়াল অ্যাপ স্টোরগুলোতেও অনেক সময় ক্ষতিকারক অ্যাপ খুঁজে পাওয়া যায়। তবে অফিসিয়াল অ্যাপ স্টোর কর্তৃপক্ষ সেগুলো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরিয়ে ফেলতে সচেষ্ট থাকেন। তাই সর্বদা অফিসিয়াল অ্যাপ স্টোরগুলোর উপরই ভরসা রাখুন এবং এতে করে ভুয়া অ্যাপ ডাউনলোডের সম্ভাবনা অনেকাংশেই হ্রাস পাবে।
২.অ্যাপ এর বিবরণ পড়ুনঃ
কোনো অ্যাপে প্রচুর বানান বা ব্যাকরণগত ভুল খুঁজে পেয়েছেন? এক্ষেত্রে এটিকে ভুয়া অ্যাপের একটি সম্ভাব্য ইঙ্গিত হিসেবেই ধরে নিতে পারেন। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, কোনো বিশ্বস্ত ডেভেলপার এ ধরনের ভুল করবে না। তাই কোনো একটি অ্যাপের মৌলিক বিবরণে এ ধরনের ভুল থাকা মানেই হলো সেই অ্যাপটি ভুয়া হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
৩.রিভিউগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করুনঃ
কোনো অ্যাপ ডাউনলোড করার আগে তার রিভিউগুলো পড়ে নেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। যদি কোনো অ্যাপ ভুয়া হয়ে থাকে তবে নির্দিষ্ট কিছু রিভিউ এ কেউ না কেউ তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করবেনই। তাই কোনো অ্যাপ ডাউনলোড করার আগে অ্যাপটির বিষয়ে অন্যরা কি বলেছে তা দেখে নিতে ভুলবেন না।
৪.ডেভেলপারের ব্যাকগ্রাউন্ড যাচাই করুনঃ
অ্যাপ ডেভেলপারের ওয়েবসাইট পরিদর্শন করার চেষ্টা করুন অথবা অ্যাপ স্টোরের বিবরণ থেকে তার সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন। একটি অ্যাপ ডাউনলোড করার আগে, সর্বদা এর ডেভেলপার সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন। এক্ষেত্রে যদি সন্দেহজনক কিছু খুঁজে পান- যেমন যদি তাদের কোনো ওয়েবসাইট বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রোফাইল না থাকে, তাহলে সেই অ্যাপটি ডাউনলোড না করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
৫.ডাউনলোডের সংখ্যাকেও বিবেচনা করুনঃ
কোনো অ্যাপ আসল না ভুয়া তা যাচাই করার এটি খুবই ভালো একটি সূচক। যদি ডাউনলোডের সংখ্যা অনেক বেশি হয়ে থাকে তবে এটি কখনই সম্ভব নয় যে এত বিপুলসংখ্যক মানুষ এর মাধ্যমে প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন।
তবে মনে রাখবেন, উপরের পয়েন্টগুলোই একটি অ্যাপ আসল না ভুয়া তা যাচাই করার করার জন্য ধ্রুবক নয়। এছাড়াও এক্ষেত্রে আরো বিভিন্ন উপায়ে চেষ্টা করা যেতে পারে। যাহোক, যাচাই না করে শুধুমাত্র অন্ধবিশ্বাসে কোনো অ্যাপ ডাউনলোড করার চেয়ে এই পয়েন্টগুলো অনুসরণ করে তা যাচাই করেই ডাউনলোড করাটাই উত্তম নয় কি?