আরএমপি নিউজ :
ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি), বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, বিপিএম (বার), পিপিএম বলেছেন, প্রযুক্তির ব্যবহার এবং বৈশ্বিক পরিবর্তিত সমাজব্যবস্থায় অপরাধ ও অপরাধীদের কার্যক্রমে বহুমাত্রিকতা সংযোজিত হয়েছে। তিনি এ ধরনের অপরাধ মোকাবিলায় পুলিশের সদস্যদের অপরাধবিষয়ক উচ্চশিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
রাজধানীতে পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশে ‘মাস্টার অব অ্যাপ্লাইড ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ ম্যানেজমেন্ট’ শীর্ষক মাস্টার্স প্রোগ্রামের অষ্টম ব্যাচের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আইজিপি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশের রেক্টর ড. মল্লিক ফখরুল ইসলাম, বিপিএম, পিপিএম।
অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে আইজিপি পুলিশ স্টাফ কলেজের নবনির্মিত সাইবার ল্যাবের উদ্বোধন করেন এবং আন্তর্জাতিক পুলিশ গবেষণা ও উদ্ভাবন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশের পরিচালক (আরএন্ডপি) মোহাম্মদ শাহজাহান পিপিএম (বার), পিএইচডি ১৭ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
আইজিপি বলেন, মাঠপর্যায়ে যেসব অপরাধ সংঘটিত হতো, এখন সেগুলো ছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি ও যোগাযোগের কার্যক্রম বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রচলিত অপরাধের ধরন যেমন পরিবর্তিত হয়েছে, তেমনি ডিজিটালাইজড পদ্ধতির অপরাধ সংযোজিত হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশ উচ্চতর শিক্ষা ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের মাধ্যমে সেসব অপরাধ মোকাবিলায় নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
আইজিপি আরও বলেন, বৈশ্বিক অপরাধের প্রভাবে বাংলাদেশেও সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদের মতো অপরাধ যুক্ত হয়েছে। পুলিশ সফলতার সঙ্গে এ ধরনের দেশীয়, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক বহুমাত্রিক অপরাধ মোকাবিলায় শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক ইচ্ছার ফলে ২০০০ সালে পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশ-এর যাত্রা শুরু। এরপর থেকে এই প্রতিষ্ঠান প্রশিক্ষণ ও গবেষণায় বিশেষ অবদান রেখে চলেছে।
পুলিশ স্টাফ কলেজের নবনির্মিত সাইবার ল্যাবের উদ্বোধন করেন আইজিপি। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ
সভাপতির বক্তব্যে পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশের রেক্টর ড. মল্লিক ফখরুল ইসলাম, বিপিএম, পিপিএম বলেন, শিক্ষাবর্ষ ২০১৫-২০১৬ থেকে ‘মাস্টার অব অ্যাপ্লাইড ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ ম্যানেজমেন্ট’ শীর্ষক ১ বছর মেয়াদি মাস্টার্স প্রোগ্রাম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশে পরিচালিত হচ্ছে। প্রফেশনাল এ মাস্টার্স প্রোগ্রামে পুলিশ কর্মকর্তা ছাড়াও অন্যান্য পেশায় নিয়োজিত শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ রয়েছে। ৮ম ব্যাচে পুলিশ সদস্য ছাড়াও সামরিক ও বেসামরিক বিভাগের কর্মকর্তা, আইনজীবী, শিক্ষক, উন্নয়নকর্মী ভর্তি হয়েছেন। এ কোর্স অপরাধবিষয়ক পেশাগত জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট পুলিশিংয়ের ভিত্তি সুদৃঢ় করতে সহায়ক হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ। স্বাগত বক্তব্য দেন এমডিএস মো. গোলাম রসুল।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, মাস্টার্স প্রোগ্রামের শিক্ষার্থী, কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : পুলিশ নিউজ