Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২২nd এপ্রিল ২০২৫

বোয়ালিয়া থানার অভিযানে সাড়ে ১০ লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনার এক আসামি গ্রেপ্তার


প্রকাশন তারিখ : 2025-04-22

আরএমপি নিউজ : রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানা এলাকায় এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজারকে আঘাত করে সাড়ে ১০ লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত অটোরিকশা চালককে গ্রেপ্তার করেছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি)-এর বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ।

 

গ্রেপ্তারকৃত আসামি মো: মাসুম (৩০) নওগাঁ জেলার মান্দা থানার ঠাকুর মান্দা গ্রামের মৃত ছানোয়ার শেখের ছেলে।

 

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত ২০ এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ সকালে ব্যবসায়ী বিপুল ঘোষ (৩৬) তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য ম্যানেজার দিলীপ কুমার প্রামানিক (৫৫)-এর মাধ্যমে নগদ ১৩ লক্ষ টাকা পাঠান। দিলীপ কুমার সকাল পৌনে ৯ টায় নগরীর বোয়ালিয়া থানার ঘোড়ামারা পানির পাম্প সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ করে হেলমেট পরিহিত দুইজন অজ্ঞাতনামা মোটরসাইকেল আরোহী অটোরিকশার গতি রোধ করে তার চোখে শুকনো মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে দেয় এবং ধারালো চাকু দিয়ে আঘাত করে তার কাছে থাকা টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। এসময় ঐ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার ছিনতাইকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করেন। একপর্যায়ে ব্যাগ থেকে ২ লক্ষ ৫০ টাকা পড়ে গেলেও বাকি ১০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ছিনতাইকারীরা নিয়ে পালিয়ে যায়। উক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় একটি ছিনতাই মামলা রুজু হয়।

 

আরএমপির পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিনতাই টাকা উদ্ধারসহ আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়। মহানগরজুড়ে বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসানো হয় এবং থানা ও টহল দলকে সতর্ক করা হয়।

 

পরবর্তীতে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত রিকশা এবং চালককে শনাক্ত করে। পরে  উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বোয়ালিয়া থানার এসআই মো: শরিফুল ইসলাম ও তার টিম গত ২১ এপ্রিল দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে আসামি মাসুমকে তার নিজ বাড়ি মান্দা থেকে গ্রেপ্তার করে।

 

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামি মাসুম ছিনতাইয়ের ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। সে জানায়, ঘটনার পরপরই সে আত্মগোপনে চলে যায়। ছিনতাই হওয়া টাকা উদ্ধারসহ অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

 

গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে পুলিশ রিমান্ডের আবেদনসহ বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।