আরএমপি নিউজ: রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানাধীন নারায়ণপুর গ্রামের মো: কামরুজ্জামানের পুত্র মো: আমানুল্লাহ ইমন (২২) খুনের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত অভিযুক্তরা হলো মো: আরাফাত হোসেন নাহিদ (২৪) এবং মো: আবু বক্কর সিদ্দিক আলিফ (২৫)। মো: আমানুল্লাহ খুনের ঘটনায় মো: আবু বক্করকে সম্পৃক্ত করে মো: আরাফাত হোসেন নাহিদ খুনের দায় স্বীকারপূর্বক রাজশাহীর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।
অভিযুক্ত মো: আরাফাত হোসেন নাহিদ রাজশাহীর গোদাগাড়ীর নলত্রী গ্রামস্থ মো: আজিজুর রহমানের পুত্র এবং মো: আবু বক্কর সিদ্দিক আরিফ চাঁপাই নবাবগঞ্জের সদর থানাধীন সাতনইল দক্ষিণপাড়ার মো: আব্দুল হান্নানের পুত্র। অভিযুক্ত মো: আরাফাত হোসেন নাহিদ পেশায় ট্রাকচালক এবং মো: আবু বক্কর সিদ্দিক আলিফ ট্রাক চালকের হেলপার।
এ খুনের ঘটনার সংবাদ প্রাপ্তির পরই গোদাগাড়ী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত জব্দপূর্বক লাশের পোস্টমর্টেমের ব্যবস্থা করে। রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) মো: খায়রুল আলমের নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নিরস্ত্র) এম এ কুদ্দুস এই ক্লুলেস খুনের ঘটনায় দুইজনের সম্পৃক্ততা পেয়ে অভিযান পরিচালনা করে মো: আরাফাত হোসেন নাহিদকে গোদাগাড়ী এবং মো: আবু বক্কর সিদ্দিক আলিফকে চাঁপাই নবাবগঞ্জের সদর থেকে গ্রেফতার করে গত ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রি. রাজশাহীর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থাপন করেন।
অভিযুক্ত মো: আরাফাত হোসেন নাহিদ রাজশাহীর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় মো: আমানুল্লাহকে খুনের বিষয়টি স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করে। অভিযুক্ত নাহিদের জবানবন্দিতে জানা যায়, গত ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রি. সন্ধ্যার পর ভিকটিম আমানুল্লাহর নিকট পাওনা ১০,০০০ টাকা সংগ্রহের জন্য সে তার হেলপার আবু বক্কর সিদ্দিক আলিফকে পাঠালে তা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এতে ক্রোধান্বিত হয়ে সে ও আবু বক্কর সিদ্দিক আলিফ আমানুল্লাহকে হত্যার উদ্দেশ্যে একটি জুতার ফিতা, একটি ব্লেড ও একটি সাদা গেঞ্জি সংগ্রহ করে। আমানুল্লাহ গোদাগাড়ীর নলত্রী গ্রামের মো: আব্দুল খালেকের রথিরামের ভিটায় আসলে পিছন থেকে নাহিদ জাপটে ধরে এবং আবু বক্কর গেঞ্জি দিয়ে মুখ বেঁধে জুতার ফিতা দিয়ে গলায় ফাঁস দিলে ভিকটিমের শ্বাস বন্ধ হয়। এরপর আবু বক্কর ব্লেড দিয়ে ভিকটিম আমানুল্লাহর গলায় পোচ দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে কৌশলে দুইজনই পালিয়ে যান।
উল্লেখ্য, গত ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রি. মো: আমানুল্লাহ খুন হলে বাদি হয়ে ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রি. মৃতের পিতা মো: কামরুজ্জামান গোদাগাড়ী থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।