Thursday, 25 April 2024

   05:46:22 AM

logo
logo
পুলিশ পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তিদের কাছ থেকে প্রতারণা পূর্বক অর্থ আদায়

3 years ago

এসআই (নিঃ) মোঃ মাসুদ রানা, রাজপাড়া থানা, আরএমপি, রাজশাহী অভিযোগ করেন যে, গত ২৯/০৯/২০২০ তারিখ সকাল অনুঃ ১০.৩০ ঘটিকায় ওসি (তদন্ত) রাজপাড়া থানার মাসুদ আলম এর পরিচয় দিয়ে ০৪ (চার) টি মোবাইল নম্বর থেকে রাজপাড়া থানাধীন তেরখাদিয়া ডাবতলা মোড়ে অবস্থানকারীসহ আশে পাশের এলাকার ০৩ (তিন) জন ব্যক্তির মোবাইল নম্বরে ফোন করিয়া বলে যে, আপনি পত্রিকায় একটি হারানো বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন সেটার  তদন্ত, উদ্ধার কার্যের জন্য এবং উদ্ধারকৃত ডকুমেন্ট পাঠানোর জন্য কিছু খরচের প্রয়োজন বলে টাকার দাবি করে। পরে উক্ত নম্বরের ব্যক্তিগণ থানায় অবহিত করলে দেখা যায় যে, উক্ত বিষয়টি সর্ম্পকে এসআই (নিঃ) মোঃ মাসুদ রানা ও থানা কর্তৃপক্ষের কেউই অবগত নয়। পরবর্তীতে উক্ত মিথ্যা পরিচয় দানকারী ব্যক্তির মোবাইল নম্বরগুলো আরএমপি’র সাইবার ক্রাইম ইউনিটে প্রেরণ করলে, সাইবার ক্রাইম ইউনিট উক্ত নম্বরগুলোর তথ্য উপাত্তগুলো বিশ্লেষন করে। সাইবার ক্রাইম ইউনিট প্রায় ২১ (একুশ) দিন সকল তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে প্রযুক্তির সহায়তায় উক্ত মিথ্যা পরিচয় দানকারী ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করে। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মহোদয়ের সার্বিক দিক নির্দেশনায় ও আরএমপি’র সাইবার ক্রাইম ইউনিটের তত্বাবধানে, প্রযুক্তির সহায়তায় রাজপাড়া থানা পুলিশ ও পাবনা জেলা গোয়েন্দা শাখার সহযোগীতায় শনাক্তকৃত মিথ্যা পরিচয় দানকারী মোঃ ফারুক হোসেন ফিটু (৪২) কে পাবনার জেলার আমিনপুর থানাধীন চক আব্দুল শুকুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে এসআই (নিঃ) মোঃ মাসুদ রানা, রাজপাড়া থানা, আরএমপি, রাজশাহী বাদী হয়ে রাজপাড়া থানার মামলা নং-৫৪, তারিখ-১০/২০/২০২০ খ্রিঃ ধারা-২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এর ২৪(১) এর (ক) ধারায় মামলা রুজু করেন।

মিথ্যা পরিচয় দানকারী মোঃ ফারুক হোসেন ফিটু (৪২) ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদে এবং সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সকল তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণে পাওয়া যায় যে, মোঃ ফারুক হোসেন ফিটু (৪২), পিতা-মোঃ নাদের শেখ, মাতা-মৃত আলেয়া বেগম, সাং-চক আব্দুল, শুকুর, পোষ্টঃ কালিকা বাড়ি, থানা- আমিনপুর, জেলা- পাবনা কাজির হাট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে।এরপর সে ২০০১ সালে ঢাকায় গিয়ে টপিক্যাল সিকিউরিটি হোম’স লিমিটেড নামক সিকিউরিটি কোম্পানিতে ২০০৯ সাল পর্যন্ত চাকুরী করে। ২০০৯ সালের পরে সে বাসায় চলে আসে এবং ২০১২ সালে আবার ঢাকায় যায়, ২০১২ সাল থেকে ২০১৭ ঢাকার বিভিন্ন যায়গায় চা বিক্রি করে। ২০১৭ সাল থেকে তাকে গ্রেফতারের পূর্ব অবধি সে পুলিশ পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তিদের কাছ থেকে প্রতারণা পূর্বক অর্থ আদায় আসছে। তার কাছ থেকে মোট ০৩ টি মোবাইল ফোন, ০৫ টি সিম কার্ড ও প্রতারণা পূর্বক অর্থ আদায়ের ৭৬৭০/- টাকা উদ্ধার করা হয়। সাইবার ক্রাইম ইউনিট এখন পর্যন্ত তার ব্যবহৃত ১৬ টি মোবাইল ও ২৪ সিম কার্ড ব্যবহারের সন্ধান পেয়েছে। মিথ্যা পরিচয় দানকারী মোঃ ফারুক হোসেন ফিটু (৪২) তিন/চার মাস পরপর সিম কার্ড ও মোবাইল পরিবর্তন করে।